নতুন আর কোনো ইটভাটার অনুমতি নয়— পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইটভাটা জনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া হবে না।  পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিবিএমওএ) নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, ইটভাটার কারণে পরিবেশের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন এবং কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বিবিএমওএর নেতারা ইটভাটা শিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণে সরকারের সহযোগিতা চান। তারা পরিবেশ উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিবিএমওএর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খানসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫