চেন্নাইয়ে গত ৪০ বছরে যা করেননি কোনো টেস্ট
অধিনায়ক সেটাই করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত
নিলেন। আর সেই আপাত বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পেছনে যে যুক্তি ছিল সেটাই দারুণভাবে প্রমাণ
করলেন টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার পর শুভমান গিল এবং চারে
ব্যাট করতে নামা ভিরাট কোহলিকে শিকার করে ভারতকে টেস্টের প্রথম ঘণ্টায়ই ব্যাকফুটে ঠেলে
দিয়েছেন ডানহাতি এ পেসার। পরে ঋষভ পন্ত ও যশস্বী জয়সোয়ালের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দিতে
পেরেছে ভারত। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৩ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যায়
স্বাগতিকরা।
চেন্নাইয়ের ব্যাটিং স্বর্গে নতুন বলে তাসকিন
আহমেদ পেয়েছেন বাউন্স আর হাসান মাহমুদ আদায় করে নিয়েছেন সিম মুভমেন্ট। বাংলাদেশের দুই
স্ট্রাইক বোলারকে তাই দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন রোহিত ও জয়সোয়াল। কিন্তু রোহিত ঠিকমতো
শুরুও করতে পারলেন না। বেশ কয়েকবার পরাস্ত করার পর দারুণ এক আউটসুইঙ্গারে রোহিতকে স্লিপে
শান্তর তালুবন্দি করেন হাসান। মাত্র ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তিনে নামা শুবমান গিল রানের খাতাও খুলতে পারেননি।
পরের ওভারে আক্রমণে আসেন হাসান মাহমুদ। লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক
লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গিল।
তার ডিসমিসাল কিছুটা অদ্ভুত হলেও ভিরাট কোহলি
আউটের ধরন অনেকটাই চিরাচরিত। অফ স্ট্যাম্প করিডোরে কোহলির দুর্বলতা প্রায় সবারই জানা।
হাসান মাহমুদ কঠিন প্রশ্নই জিজ্ঞেস করে বসলেন। ফোর্থ স্ট্যাম্পে করা গুড লেংথের যে
বলটি ড্রাইভের জন্য ঠিক উপযুক্ত নয় সেখানেই বল তাড়া করতে গেলেন কোহলি। বল তার ব্যাটের
কানায় লেগে জমা পড়ে লিটন দাসের হাতে। সাদা বলের ফরম্যাটে দারুণ ফর্ম আরো একবার লাল
বলের ফরম্যাটে টেনে আনতে পারলেন না কোহলি। ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে টেস্টে রান পাওয়ার
সংগ্রাম দীর্ঘায়িত করলেন তিনি।
অন্যদিকে, ভারতের টপ-মিডল অর্ডার ধসিয়ে রেকর্ডবই
হাতড়াতেও বাধ্য করলেন হাসান মাহমুদ। ২০০৯ সালে চানাকা ভেলেগেদারার পর তিনিই একমাত্র
বোলার যিনি কোনো টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই শিকার করেছেন ভারতের
অন্তত তিন ব্যাটারকে।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে জয়সোয়াল ও পন্তের ব্যাটে
ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য লড়ছে ভারত। মধ্যাহ্ন ভোজ পর্যন্ত ১৩.৪ ওভার ব্যাটিং করে বোর্ডে
৫৪ রান এনে দিয়েছেন দুজন।