প্রযুক্তি ও আস্থায় ভোজ্যতেল শিল্পে অগ্রগণ্য এমজিআই

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দুই দশকে দেশে ভোজ্যতেল শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সে পরিবর্তনে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)। বাংলাদেশের ভোজ্যতেল শিল্পের ইতিহাসে এমজিআই অগ্রগণ্য নাম। ১৯৮৯ সালে ছোট পরিসরে একটি ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারি দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে গড়ে ওঠা ফ্যাক্টরিটি শুরু থেকেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত আপগ্রেডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে এবং তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করেছে। বর্তমানে এমজিআই সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে প্রধানত ফ্রেশ ব্র্যান্ড নামে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এছাড়া কোম্পানিটি নাম্বার ওয়ান, অ্যাক্টিফিট, সুপার পিওর ও অলিও ব্র্যান্ড নামে ভোজ্যতেল বাজারজাত করছে।

ফ্যাক্টরির বিভিন্ন প্ল্যান্টগুলোয় জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া ও চীনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এ ফ্যাক্টরিতে সয়াবিন তেল, পাম অলিন ও ডালডা উৎপাদন করা হয়। বাইপ্রডাক্ট হিসেবে সয়া অ্যাসিড তেল এবং সয়া ফ্যাটি অ্যাসিড ও পাম ফ্যাটি অ্যাসিড রফতানি করা হয়। দেশের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাক্টরির উৎপাদনক্ষমতা ক্রমাগতভাবে বাড়ানো হয়।

এমজিআই-এর ভোজ্যতেল ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে সুপার ফ্রেশ ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল, নাম্বার ওয়ান ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল, অ্যাক্টিফিট ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল, সুপার পিওর পাম অলিন ও অলিও পাম অলিন এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এমজিআই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চ মানের সয়াবিন বীজ সংগ্রহ করে এবং নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সয়াবিন তেল উৎপাদন করে। ফলে ভোক্তারা সর্বোচ্চ মানের তেল পেয়ে থাকেন।

হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করেছে এমজিআই। ভোজ্যতেলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫ হাজার কর্মী এখানে কাজ করেন। এছাড়া পরোক্ষভাবে পরিবহন, ডিলারশিপ ও সরবরাহ খাতের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করছে আরো হাজারো মানুষ। ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সুপার ফ্রেশ ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল ব্র্যান্ডটি এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৭ সালে ব্র্যান্ডটি সিএমও এশিয়া কর্তৃক প্রদানকৃত গোল্ডেন গ্লোব টাইগার্স অ্যাওয়ার্ডে ব্র্যান্ড রিভাইটালাইজেশন অ্যাওয়ার্ড লাভ করে, যা একটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা।

ভবিষ্যতের জন্য এমজিআই-এর লক্ষ্য আরো বড়। প্রতিনিয়ত উৎপাদন প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে শিল্পগোষ্ঠীটি। ভোক্তাদের জন্য আরো উন্নত মানের পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। উদ্ভাবনী চিন্তাধারা, মানের প্রতি আপসহীনতা এবং পরিবেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এমজিআই’কে দেশের শিল্প খাতে একটি নির্ভরযোগ্য নামে পরিণত করেছে।

এমজিআই-এর এ অগ্রযাত্রা শুধু ভোজ্যতেল শিল্পেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের পণ্য যেমন পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনই কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এমজিআই প্রযুক্তির উন্নয়ন, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও ভোক্তার আস্থার মাধ্যমে নিজেদের দেশের অন্যতম দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫