মানুষের জীবনমান উন্নত করে যাচ্ছে এসিআই পিওর সল্ট

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বা এসিআই লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম বড় কনগ্লোমারেটদের একটি। এসিআই গ্রুপের ভোজ্য লবণ উৎপাদনকারী ইউনিট এসিআই সল্ট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালের জুনে। এখানে মূলত আধুনিক ভ্যাকুয়াম (বায়ুশূন্য) বাষ্পীভবন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের ব্যবহারের জন্য ১০০ ভাগ ভোজ্য লবণ তৈরি করা হয়। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে কোম্পানিটি বিশুদ্ধতা রক্ষা করে অনবদ্য সুনামের সঙ্গে প্রিমিয়াম গ্রেডের ভোজ্য লবণ সরবরাহ করে দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে। বাংলাদেশের লবণ শিল্প আগে প্রাচীন পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত হতো যার ফলে ভোক্তাদের বালি, ময়লা কণা, ভেজালসহ নিম্নমানের ভোজ্য লবণ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু ২০০৫ সালে দেশের অন্যতম নেতৃস্থানীয় কনগ্লোমারেট এসিআই লিমিটেড তাদের কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ভোক্তাদের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সমতুল্য মানসম্পন্ন ভোজ্য লবণ সরবরাহ করতে শুরু করায় পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু করে।

এসিআই সল্টের কারখানা বর্তমানে ভ্যাকুয়াম সল্ট শিল্পের মধ্যে উৎপাদনক্ষমতায় বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২০০৫ সালে এ কারখানা স্থাপন করা হয়। এসিআই পিওর সল্ট সুইজারল্যান্ডের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এ প্রযুক্তি সবচেয়ে আধুনিক ভ্যাকুয়াম বা বায়ুশূন্য বাষ্পীভবন ব্যবস্থায় ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ, ক্রিস্টালের মতো স্বচ্ছ, সঠিকভাবে আয়োডিনযুক্ত এবং ঝরঝরে ভোজ্য লবণের উৎপাদন নিশ্চিত করে। এ পদ্ধতিতে তৈরি লবণের উচ্চ মানের খাদ্য গ্রেড এবং একাধিক স্তরের লেমিনেটেড প্যাকেজিং আয়োডিনকে বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে বাধা দেয় এবং একই সঙ্গে লবণকে আর্দ্রতা বা ভেজাল থেকে রক্ষা করে।

কারখানাটি চালুর সময় উচ্চ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউরোপিয়ান যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছিল। সে সময় কারখানার শ্রমিক সংখ্যা ছিল ১৬৭। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৫০০ কর্মী কর্মরত এবং সম্পূর্ণ বাংলাদেশী জনবল দ্বারা কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী সব সুবিধা কারখানার শ্রমিকেরা পেয়ে থাকেন।

আয়োডিন যুক্ত করে ভোজ্যরূপে বিশুদ্ধ লবণ প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ইউরোপ থেকে আনা উচ্চ সক্ষমতাসম্পন্ন কয়েকটি মেশিন রয়েছে বর্তমানে এসিআইয়ের কারখানায়। ভবিষ্যতে এগুলো আরো সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানসম্পন্ন লবণ উৎপাদনের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে এসিআইয়ের পণ্য ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। কারখানার বর্তমান উৎপাদনক্ষমতা বার্ষিক দেড় লাখ টনের বেশি, যা আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। 

দেশের চাহিদা অনুসারে ভ্যাকুয়াম লবণের ব্যবসার আকার বেশ ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি বছর এর আকার ক্রমবর্ধমান। বিএসসিআইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদিত হয়েছিল। নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের উন্নত গুণগত মান, জনগণের চাহিদা ও আস্থার ফলে এসিআই পিওর সল্ট বর্তমানে দেশীয় লবণের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বাজারে প্রায় ২৫ শতাংশ নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। দুই দশকের এ অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও বজায় রাখার লক্ষ্যে এসিআই বদ্ধপরিকর।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫