সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার
(সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আওয়ালের বিরুদ্ধে
প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এছাড়া বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
নির্বাচিত সব সংসদ সদস্যদেরও আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী
শরীফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল করিম।
বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত পুলিশকে তদন্তের
নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার মর্যাদার একজন অফিসার দিয়ে এ মামলার তদন্ত করার
কথা বলেছেন।’
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ,
মো. জাবেদ আলী, আবদুল মোবারক, মো. শাহনেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন
চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর,
আনিসুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সড়ক পরিবহন
ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মামলার বাদী একরামুল করিম বলেন, ‘নির্বাচনগুলো প্রতারণামূলক নির্বাচন
ছিল। যাদের সংবিধান রক্ষা করার কথা ছিল, তারাই ভঙ্গ করেছে। দেশবাসী নির্বাচনে অংশ নিতে
পারেননি। তারা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করেছেন। তাই মামলা হয়েছে।’
বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ‘সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্রদ্রোহীতার
অভিযোগে মামলা হয়। কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে মামলা
করার কথা সংবিধানে আছে। তারা ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে তিনটি নির্বাচন করেছেন জনগণকে বাইরে
রেখে। ফলে তারা রাষ্ট্রদ্রোহীতা করেছেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে
ও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, দেশের সংবিধান ও আইনকে
লঙ্ঘন করে একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু অনির্বাচিত লোককে
সংসদ সদস্য ঘোষণা করে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, পরে তাদের মন্ত্রী ও স্পিকার ঘোষণা করা হয়। দেশের
মানুষ ভোট দিতে না পেরে নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গণতন্ত্র। দেশে স্বৈরাচারী
লুটেরা ব্যবস্থার আবির্ভাব হয়। দেশের সব সম্পদ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু
করে দেন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা।