মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সামরিক
সরকার জানিয়েছে, টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এমআর টেলিভিশনে রোববার শেষ রাতের বুলেটিনে সামরিক
সরকারের মুখপাত্র জ মিন তুন জানান, ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
৬৪ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার উদ্ধার এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালন
করছে।’
আবহাওয়াবিদদের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, টাইফুন ইয়াগি
চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এটি একই সঙ্গে ভিয়েতনাম
ও থাইল্যান্ডে আঘাত হেনেছে। বন্যার পানিতে ওই এলাকার নদীগুলো উপচে উঠেছে এবং আশপাশের
শহর তলিয়ে গেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অচলাবস্থা
চলছে। দেশটির অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে,
ঝড়ো বৃষ্টিতে মূলত রাজধানী নেইপিদো, মানডাল, মগওয়ে, বাগো অঞ্চল ও শান প্রদেশ আক্রান্ত
হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় পাঁচটি ড্যাম, চারটি
প্যাগোডা এবং ৬৫ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রেড ক্রসসহ দাতা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ৫ কোটি ৫০ লাখ মানুষের মানবিক
সহায়তা প্রয়োজন। নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক এলাকায় ত্রাণ ও
উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না।