সেনাবাহিনীর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমকে দেয়া হয়েছে ‘অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর’। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সামি-উদ-দৌলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমান এর আগে সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার সময় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন মজিবুর রহমান। পরে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক হন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসেবে। এর আগে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাইফুল আলম।
৪ সেপ্টেম্বর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী লুবনা আফরোজের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের সন্তান ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ—বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ও জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষ পদে রদবদল করা হয়। একই দিন চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে।