খাজনা আদায়ের নোটিসের প্রতিবাদ

ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে মাছ বিক্রেতাদের ধর্মঘট

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের শতকরা ৭ টাকা হারে খাজনা পরিশোধের নোটিস দিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে মাছ কেনাবেচা বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন আড়তদার ও ক্রেতারা। যদিও ইজারাদারের প্রতিনিধি বলছেন, পৌরসভার নোটিস অনুযায়ী তারা আইনগতভাবেই খাজনা তোলার চেষ্টা করছিলেন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, বিধিমোতাবেক নোটিস প্রদান দেয়া হয়েছে ইজারাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। যদিও মাছ কেনাবেচা বন্ধের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শতকরা ৭ টাকা টোল আদায়ের নোটিস ৮ সেপ্টেম্বর দেয়া হয়। নোটিস অনুযায়ী ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খাজনা তোলার ঘোষণা দিলে সকাল থেকেই মাছ কেনাবেচা বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। তারা খাজনা পরিশোধে আগের নিয়ম বহাল না করলে মাছ কেনাবেচা করবেন না বলে জানিয়েছেন।

পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জগদিশ সরকার, ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ও দিলীপ কুমার জানান, এর আগে শতকরা ৩ টাকা খাজনা আড়তদারদের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হতো। খুচরা ব্যবসায়ীরা চাটাই ভাড়া বাবদ দৈনিক ৭০ টাকা পরিশোধ করতেন। বর্তমান নিয়ম চালু হলে মাছের দামে প্রভাব পড়বে। এতে ক্রেতার মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে তিন শতাধিক পাইকারি ক্রেতা রয়েছেন। যারা দৈনিক অর্ধকোটি টাকার মাঠ কেনাবেচা করেন। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাছ না কেনায় বিপাকে পড়েছেন আড়তদাররা। অন্তত অর্ধকোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

হারান সরকার, মনোজ রায় ও মনিরুল ইসলাম মনাসহ কয়েকজন আড়তদারের দাবি, মাছের বাজার নিয়ন্ত্রণে খাজনা প্রত্যাহার প্রয়োজন। মাছ বেচাকেনা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষও। মাছ কিনতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত এ সংকট নিরসনের দাবিও তাদের।

ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. শেখ জনি জানান, পৌরসভার নির্ধারিত হারেই খাজনা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। গতকাল পাইকারি ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট শুরু করেছেন।

ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, খাজনা তোলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আইনগতভাবেই খাজনা তুলতে নোটিস দেয়া হয়েছে। তবে মাছ কেনাবেচা বন্ধের বিষয়ে তিনি কিছু জানে না বলে জানান।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫