এফবিআইয়ের সঙ্গে দুদকের বৈঠক

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগিতার আশ্বাস

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা এবং পাচার রোধে করণীয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। ভবিষ্যতে কোনো প্রয়োজন হলে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এফবিআই। 

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এফবিআইয়ের লিগ্যাল অ্যাটাশে রবার্ট ক্যামেরুন। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ লিয়াজোঁ স্পেশালিস্ট মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। বৈঠকে দুদকের পক্ষ থেকে ছিলেন মানি লন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালক মোকাম্মেল হক ও পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী এবং গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাহিদ। পরে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে।

পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। দুদক এক্ষেত্রে এফবিআইয়ের সহযোগিতা নেবে কিনা–এ প্রশ্নের জবাবে খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘অর্থ পাচার বিষয়টি দুদকের নতুন ইস্যু নয়, সবসময়ই এ নিয়ে দুদক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের কার্যক্রমে যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, নিশ্চয়ই সে সহায়তা নেবে।’ 

এফবিআইয়ের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদকে এসেছিলেন জানিয়ে দুদক সচিব বলেন, ‘এটি এক ধরনের সৌজন্য সাক্ষাৎ। দুদকের মানি লন্ডারিং শাখার ডিজির সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন কীভাবে কাজ করে, তদন্ত প্রক্রিয়া, তথ্যানুসন্ধান, গোয়েন্দা কার্যক্রম–এসব বিষয় জানতে চেয়েছে প্রতিনিধি দলটি। দুদকে বিভিন্ন উইংয়ের মাধ্যমে যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেসব তথ্যও তারা জানতে চেয়েছে। সংশ্লিষ্ট উইং থেকে তাদের এসব তথ্য জানানো হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন বোধ করি, সেগুলো এক্সপ্লোরের কথা বলেছে। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি।’

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুদক কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা–এ প্রশ্নের জবাবে খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘দুদকের কার্যক্রম চলমান আছে এবং চলবে। টাকা পাচার বন্ধের বিষয়ে দুদকের পাশাপাশি আরো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারাও কাজ করছে। দেশের অর্থ যাতে পাচার না হয়, তার জন্য বিভিন্ন মেকানিজম তৈরি হচ্ছে। সেগুলো যদি সফলভাবে কার্যকর হয় তাহলে পাচার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’ 

দুদক সচিব বলেন, ‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য অনেকগুলো মন্ত্রণালয় বা সংস্থার মাধ্যমে আমাদের কাজ পরিচালনা করতে হয়। সেজন্য কিছু ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ হয়ে যায়। পাচার করা অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের কী আইন বা বিধানাবলি রয়েছে, তা জেনে ও মেনে সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা হয়। এসব কার্যক্রম দুদক চালাচ্ছে। হয়তো এখন আরো তৎপর হবে, নতুন মেকানিজম ডেভেলপ করা হবে বা এর থেকে অন্য কোনো সিস্টেমে করা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। আশা করি, ইতিবাচক ফলাফল পাব।’ 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫