গাজায় আরো ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত, চলছে টিকাদান কর্মসূচি

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আরো অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে হামলায় আটজন নিহত হয়। অন্যদিকে অব্যাহত হামলা সত্ত্বেও গাজায় শিশুদের পোলিও টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। খবর আল জাজিরা।

হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও ফাতাহ গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখাগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ট্যাঙ্কবিধ্বংসী রকেট ও মর্টার বোমা ব্যবহার করে লড়াই করেছে। কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সামরিক যানকে লক্ষ্যবস্তু করে বোমা হামলাও হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের যুদ্ধের এগারো মাস পেরিয়ে গেলেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে এবং এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। এতে সংঘাতের অবসান এবং গাজায় আটক ইসরায়েলি ও বিদেশী বন্দীদের মুক্তির প্রচেষ্টাও আলোর মুখ দেখছে না।

কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে। যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা খুব বেশি নেই কারণ, উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য বেশ বড়। মার্কিন প্রধান মধ্যস্থতাকারী সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিস্তারিত প্রস্তাব আনা হবে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ের দায়িত্ব হলো ছাড় দেয়া, যাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যায়।

শনিবার হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা হোসাম বাদরান বলেন, তারা নতুন কোনো দাবি তোলেনি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ২ জুলাইয়ের প্রস্তাবে তাদের অবিচল সমর্থন রয়েছে। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নতুন শর্ত আরোপের কারণে অভিযুক্ত করে বলেন, এতে যুদ্ধের অবসান ঘটবে না। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু বলেন, হামাসই অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করেছে।

সংঘর্ষ সত্ত্বেও জাতিসংঘ স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজায় প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও টিকাদানের প্রচারণা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা জানান, তারা অগ্রগতি অর্জন করেছেন এবং দক্ষিণ ও মধ্য গাজা উপত্যকায় প্রথম দুই ধাপে অর্ধেকের বেশি শিশুকে টিকা দিতে পেরেছেন। আজ উত্তর গাজায় টিকা দেয়া হবে। প্রথম রাউন্ডের চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকাদান প্রয়োজন হবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫