অস্থিরতা
তৈরি করে পোশাক শিল্প খাতকে অন্য দেশে সরিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। গতকাল নারায়ণগঞ্জে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রির সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন
তিনি।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আশির দশকে শ্রীলংকায় যখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলো, তখন সেখান থেকে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে চলে আসে। এখন আমাদের দেশে এমন অবস্থা তৈরি করে কেউ কি তার দেশে এটাকে নিয়ে যেতে চাইছে। আমি সেই দেশের নাম উল্লেখ করলাম না।’
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল ভারতের একটি পত্রিকায় নিউজে বলা হয়েছে তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। তাদের দেশে অনেক অর্ডার যাচ্ছে।’
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের সতর্ক করে বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘কারো ফাঁদে পা দেবেন না। এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি মাসুদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারের পতনের পর হুমকিধাকি দিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে চাঁদা নেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল, ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বিকেএমইএর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। আমি বলতে চাই চাঁদার টাকা ফেরত দিতে হবে।’
কোনো চাঁদাবাজের নাম উল্লেখ না করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘আমি শহীদ মিনারে গিয়ে লাল কার্ড দেখাব। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বের করে দেব, সে যত বড় শক্তিশালী নেতাই হোক। প্রয়োজনে হলে দলীয় প্রধানদের কাছে জানাব।’
মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমার পাশে অতীত সরকারের কোনো চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুকে স্থান দেয়া হবে না। অতীতে দেখেছি ব্যবসায়ীদের মঞ্চে বসে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দিতে। পরে ঝুটের জন্য মালিকদের ফোন দিয়ে ওই নেতা বলতে, ভাই ঝুটটা তো দিলেন না। আমি নিজেও এমন ঘটনার শিকার হয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি সোহেল সারোয়ার মোর্শেদসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।