স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের আগে বাস্তবসম্মত ও সত্যিকার পরিসংখ্যান নির্ণয়ের আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকরা। গতকাল রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ দাবি জানান বক্তারা। ‘ডব্লিউটিওর বাণিজ্যনীতি এবং বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ শীর্ষক মিডিয়া কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইকুইটিবিডি ও ইআরএফ।
স্বাগত বক্তব্যে ইকুইটিবিডির চিফ মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ইকুইটিবিডি ও কোস্ট ফাউন্ডেশন ২০০৫ সাল থেকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছে। তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পৃথক ডব্লিউটিও সেল গঠনের দাবি জানিয়েছিলাম, যাতে ডব্লিউটিও বিষয়ক সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। পাশাপাশি দেনদরবার করার সক্ষমতা তৈরি করা যায়।’
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কোস্ট ফাউন্ডেশনের বরকত উল্লাহ মারুফ বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তকমা থেকে উত্তরণের আগেই বাস্তবসম্মত ও সত্যিকার পরিসংখ্যান নির্ণয় করতে হবে। এ উত্তরণ সফল বা বিলম্বিত হলে আমাদের কী লাভ হবে সেই বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে একটি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, যা ভবিষ্যতে ডব্লিউটিওতে আমাদের অবস্থানকে প্রভাবিত করবে।’
কর্মশালার প্রধান বক্তা অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের সাবেক মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে খোলামেলা প্রতিযোগিতা হবে, ফলে দক্ষতা বাড়বে। অন্যথায় সুবিধা পেতে পেতে আমাদের মধ্যে আলস্য তৈরি হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কয়েক বছরের জন্য বিলম্বিত হলেও আমরা উপকৃত হব। এতে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে অব্যাহত সুযোগ-সুবিধা পেতে থাকব। আমাদের যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।’
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।