গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বুড়িচংয়ের ৫ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম

প্রকাশ: আগস্ট ২৩, ২০২৪

বণিকবার্তা প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বুড়িচং উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে বাঁধ ভাঙার কারণে অধিকাংশ লোকজন ঘরবাড়িতে আটকা পড়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকাল ৩টায় এসব তথ্য জানান বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাহিদা আক্তার। তিনি বলেন, বাঁধ রাতে ১ টার সময় ভেঙেছে। তাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুড়িচং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন— ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল এবং রাজাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ইউনিয়নের গ্রামগুলো পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।

ইউএনও সাহিদা আক্তার আরো বলেন, ভোরে ভাঙন এলাকা দিকে রওনা দিয়ে রাস্তা থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সংগঠন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা গতকাল পানির ঢলে রাত ১টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া নামক স্থান দিয়ে বাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এতে ভাঙন এলাকার পাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আজ সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান  বণিক বার্তাকে বলেন, সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৭০ ফুটের মতো বাঁধ ভেঙে গেছে। পানি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে। গতকাল রাত ১টার সময় ছিল ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর, আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় ছিল বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এবার বন্যায় ভেঙেছে বিগত ২৭ বছরের রেকর্ড।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫