অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে ফান্ড ট্রান্সফারে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

প্রকাশ: আগস্ট ২২, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় (ডমেস্টিক) ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে ফান্ড ট্রান্সফারের (তহবিল স্থানান্তর) ওপর যে বিধিনিষেধ ছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে দেশীয় ইউনিট থেকে অফশোর ইউনিটে রেগুলেটরি মূলধনের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ (ট্রান্সফার) করতে পারবে ব্যাংকগুলো। আগে তা ছিল ২০ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে, তা সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং অপারেশনের (ওবিও) মাধ্যমে ডমেস্টিক ব্যাংকিং ইউনিট (ডিবিইউ) তহবিলের স্থানান্তর ৩০ শতাংশের সীমা অতিক্রম করে, তবে তা চলতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

জানা যায়, দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠানের বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কাছে পেমেন্ট বকেয়া রয়ে গেছে। এগুলো দীর্ঘদিন ওভারডিউ হলে দেশের ইমেজ নষ্ট হবে, একই সঙ্গে নতুন করে ফান্ড পেতেও কষ্ট হবে। তাই তাদের বকেয়া পেমেন্টগুলো পরিশোধ করতে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে ফান্ড ট্রান্সফার বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও এ ধরনের সুবিধা ২০১৯ সালে চালু করা হয়। তহবিল স্থানান্তরের পরিমাণ ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ছিল ২০ শতাংশ। তবে গত বছরের ২৯ নভেম্বর অফশোর ব্যাংকিং তহবিলের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের ভেতরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা, যা প্রচলিত ব্যাংকিং বা শাখার কার্যক্রমের চেয়ে ভিন্ন। এটি পরিচালিত হয় ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রায়। প্রচলিত ব্যাংকিং কার্যক্রমের চেয়ে এর পরিচালনার আইন ও নীতিমালা ভিন্ন। স্বল্প সুদে আনা সে ঋণের অর্থ থেকে উদ্যোক্তাদের বিদেশী মুদ্রায় ঋণ দেয়া হয়।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫