আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত
হওয়ার পর বাংলাদেশের ‘প্রভাবশালী’ অনেক ব্যক্তির অর্থের বিনিময়ে ভারত আশ্রয় নেওয়ার
বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ব্যক্তিকে নিরাপদে ভারতের সীমানায় পৌঁছে দিতে
কাজ করছে একাধিক চক্র। কেউ নিচ্ছে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা, কেউ নিচ্ছে লাখ টাকা।
প্রতিবেদনে বেশকিছু ঘটনাও তুলে ধরা
হয়েছে। এর একটিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মেহেরপুর উপজেলার কাশারীবাজার থেকে এক সংসদ
সদস্যের ফোন এসেছিল সীমান্তবর্তী কাথুলিবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে। দেশের পরিস্থিতি
অশান্ত। তাই স্ত্রী এবং চার সন্তানকে নিয়ে কিছুদিনের জন্য দেশ ছেড়ে ভারতে নিরাপদ
আশ্রয় চান তিনি। ওই ফোনের কিছুক্ষণ পরে কাথুলিবাজার থেকে ফোন আসে নদিয়ার করিমপুর-২
ব্লকের রাউতবাটি গ্রামে। মিনিট পাঁচেকের কথোপকথন। যিনি আশ্রয় চাইছেন, তাঁর প্রোফাইল,
রাজনৈতিক ঝুঁকি, আর্থিক সংগতি ইত্যাদি সংক্ষেপে জেনে নিয়ে চূড়ান্ত হয় রফা।'
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এরপর জানিয়ে দেয়া
হয়, ভারতে আসতে সংসদ সদস্যের পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু খরচ পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় এক লাখ করে টাকা। তা ছাড়া যত দিন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবেন, তত দিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)
এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকার জন্য দিতে হবে মাসিক ১০ লাখ টাকা! খানিক
দর কষাকষির পরে ঠিক হয় সীমান্ত পার করাতে দিতে হবে ১ লাখ নয়, মাথাপিছু ৭০ হাজার টাকা।
আর আশ্রয়ের জন্য মাসিক ৫ লাখ। রাজি হয়ে যান সংসদ সদস্য।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশের
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এমন অবৈধ ভাবেই নাকি ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রভাবশালীরা। তাদের
নিরাপদে পৌঁছে দিতে কাজ করছে একাধিক চক্র। কেউ নিচ্ছে মাথাপিছু লাখ টাকা, কেউ ৫০ হাজার।
বস্তুত, এই চক্র নিয়ে অবহিত বিএসএফ-ও। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে তারা।
চলছে আরো অনুসন্ধান।’