ওপেন ফ্র্যাকচার ইনফেকশন

ফ্র্যাকচার হলে করণীয়...

প্রকাশ: আগস্ট ১৯, ২০২৪

ফিচার ডেস্ক

ফ্র্যাকচার ওপেন বা ক্লোজড হতে পারে। ওপেন ফ্র্যাকচারের ক্ষেত্রে শুধু হাড়ই নয়, ত্বকের ক্ষতিটাও অনেক বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ যেহেতু ওপেন ফ্র্যাকচারে হাড় ত্বক ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে, তাই ব্যাকটেরিয়া ক্ষতে প্রবেশ ও পুঁজ তৈরি করতে পারে। এটির কারণে টিটেনাস ও গ্যাস গ্যাংগ্রিনও হতে পারে।

শরীরের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি নাড়াচাড়া করা যাবে না, স্থির রাখতে হবে। যেন স্থানটি আবার আঘাত না পায়। বারবার আঘাত পেলে হাড়ের ভাঙা প্রান্ত রক্তনালি, নার্ভ বা মাংসপেশিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফ্র্যাকচার ব্যান্ডেজের বা স্প্রিন্টের মাধ্যমে স্থির করতে হবে। স্বাভাবিক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যান্ডেজই যথেষ্ট। কিন্তু অঙ্গ বিকৃতি বা দুর্ঘটনা ঘটলে রোগীকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বিশেষ করে রোগীর হাতে ও পায়ে স্প্রিন্ট বেঁধে দিতে হবে, যাতে স্থানটি নড়াচড়া না করে।

ব্যান্ডেজ বাঁধার ক্ষেত্রে সতর্কতা 

ফ্র্যাকচারের ঠিক ওপরের স্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধা যাবে না। ব্যান্ডেজ এমনভাবে বাঁধতে হবে যাতে রোগী স্থানটি নাড়াতে না পারে এবং সেখানে আঘাত না লাগে। এতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্প্রিন্ট এমন লম্বা হতে হবে, যাতে জয়েন্টের ওপরের ও ফ্র্যাকচারের নিচের অংশকে নিশ্চল রাখতে পারে।

স্প্রিন্ট ভালো প্যাডযুক্ত হতে হবে, যাতে হাত বা পায়ের সঙ্গে ঠিকমতো ফিট হয়। এটি পর্যাপ্ত চওড়া হবে। জরুরি ক্ষেত্রে স্প্রিন্ট হিসেবে হাঁটার জন্য ব্যবহৃত লাঠি, কাঠের টুকরো কিংবা হার্ডবোর্ডের টুকরো ব্যবহার করা যেতে পারে।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক ও ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫