বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক

ক্লাউড অবকাঠামো খাতে আয় ৮ হাজার কোটি ডলার

প্রকাশ: আগস্ট ০৯, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী ২০২৩ সাল ক্লাউড অবকাঠামো খাতের জন্য খুব একটা অনুকূলে ছিল না। খাতটিতে ব্যয় বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। তবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) আয় হিসাব থেকে লক্ষণীয়, হতাশাজনক এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠছে খাতটি। এর পেছনের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে প্রযুক্তি দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) আগ্রহ বেড়ে যাওয়াকে। খবর টেকক্রাঞ্চ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিনার্জি রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ক্লাউড অবকাঠামো খাতে আয় হয়েছে ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি অর্থাৎ আয় বেড়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি ডলার। এ নিয়ে টানা তিন প্রান্তিকে ২০ শতাংশ বা তার বেশি প্রবৃদ্ধি দেখল খাতটি। কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সিনার্জির প্রধান বিশ্লেষক জন ডিন্সডেল এমন এক বাজার দেখতে পাচ্ছেন, যা বাড়তে থাকবে। পাশাপাশি খাতটি আগামী চার বছরে দ্বিগুণ হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। জন বলেন, ‘‌৪ হাজার কোটি থেকে প্রায় ৮ হাজার  কোটি ডলার অর্থাৎ দ্বিগুণ হতে ১৩ প্রান্তিক সময় লেগেছে।’

তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাইক্রোসফট ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউডের বিশ্লেষকের আয় পূর্বাভাস অনুপস্থিত। এর মধ্যে টেক জায়ান্টির ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা অ্যাজুরও রয়েছে। সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৫২ কোটি ডলার এবং পূর্বাভাস ছিল ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ডলার। 

ডিন্সডেল বলেন, ‘‌বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও খুব যে পার্থক্য তৈরি করবে এমনটা নয়। কারণ মাইক্রোসফট ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড থেকে আয় পূর্বাভাসের কাছাকাছিই রয়েছে। এদিকে ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউডের বড় অংশ হচ্ছে অ্যাজুর, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৯ শতাংশ বেড়েছে।’

এ সময়ে অ্যামাজনের আয় হয়েছে ২ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০২৩ সালের প্রথম দুই প্রান্তিকে এ হার ছিল যথাক্রমে ১২ ও ১৩ শতাংশ। এদিকে গুগল ক্লাউড দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি আয় করেছে। তবে এ হিসাবের মধ্যে গুগল ওয়ার্কস্পেসের পাশাপাশি অবকাঠামো পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত।

সামগ্রিক হিসাবে খাতটিতে অবদান রাখছে অ্যামাজনের ৩২ শতাংশ (প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার), মাইক্রোসফটের ২৩ শতাংশ (প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার) ও গুগলের ১২ শতাংশ (৯৫০ কোটি ডলার) বাজার হিস্যা। সিনার্জি রিসার্চের তথ্য অনুসারে, গত প্রান্তিকে মাইক্রোসফট প্রায় ২ শতাংশীয় পয়েন্ট হারিয়েছে। যদিও সার্বিকভাবে এ বাজার আকৃতি বাড়ছে।

ডিন্সডেল বলেন, ‘‌চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় অ্যাজুরের বাজার হিস্যা বৃদ্ধি না পেলেও অ্যামাজন ও গুগলের হিস্যা বেড়েছে। আইবিএম ও সেলসফোর্সকে পেছনে ফেলে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ওরাকল। দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেড়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২০০ কোটি ডলার।’

ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও নতুন উদ্ভাবনের কারণে ক্লাউড পরিষেবা খাতের আওতা বেড়ে চলেছে। এ ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তি খাতের অন্যতম এ বিভাগে যুগপৎভাবে বিনিয়োগ ও ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫