চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) গাড়ি বিক্রিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে জাপানি অটোমেকার নিশান। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় গত প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা কমেছে ৯৯ শতাংশ। মূলত মার্কিন বাজারে হাইব্রিড গাড়ি সরবরাহ করতে না পারায় নিশানের সামগ্রিক মুনাফা প্রভাবিত হয়েছে। খবর নিক্কেই এশিয়া।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে নিশানের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৯৯ কোটি ৫০ লাখ ইয়েন বা ৬৪ লাখ ডলার। আর্থিক প্রতিবেদন ঘোষণার পাশাপাশি পুরো বছরের মুনাফার পূর্বাভাসও সংশোধন করেছে নিশান। আগামী বছরের মার্চে শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের জন্য মুনাফা পূর্বাভাস সংশোধন করে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এ অনুসারে পুরো বছর মিলিয়ে মুনাফা দাঁড়াতে পারে ৫০ হাজার কোটি ইয়েন।
এছাড়া ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় জুনে শেষ হওয়া প্রান্তিকে নিশানের নিট মুনাফা ৭৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ৮৫০ কোটি ইয়েন হয়েছে।
নিশানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাকোতো উচিডা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ বাড়ার পাশাপাশি প্রত্যাশার তুলনায় বিক্রি কম হওয়ায় প্রণোদনা বাবদ খরচ সামগ্রিক আয়-ব্যয়ে প্রভাব ফেলেছে।
এ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই নিশানের শেয়ারদরে ১১ শতাংশ পতন ঘটেছে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে নিশানের বিক্রি কমেছে ৩ শতাংশ। এর পরিমাণ ২ লাখ ৩০ হাজার। এর বিপরীতে টয়োটা ও হোন্ডার বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৯ ও ৩ শতাংশ। জাপানি অটোমেকার দুটি বিক্রি করেছে যথাক্রমে ৬ লাখ ২০ হাজার ও ৩ লাখ ৫০ হাজার গাড়ি।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হাইব্রিড ধাঁচের গাড়ির জনপ্রিয়তা নতুন করে বেড়েছে। মূলত মূল্যস্ফীতির চাপের কারণে উচ্চ মূল্যের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি এড়িয়ে চলছেন ক্রেতারা। এ সুবিধা নিয়েছে টয়োটা ও হোন্ডার মতো কোম্পানিগুলো।
হাইব্রিডের ঘাটতির পাশাপাশি গড় মূল্যেও যুক্তরাষ্ট্রে পিছিয়ে আছে নিশান। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় গত জুনে এ বাজারে নিশানের ইউনিটপ্রতি গড় মূল্য ৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৩৪ হাজার ডলার। অন্যদিকে টয়োটার গড় মূল্য ৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪১ হাজার ডলার।