একের পর এক শপিংমল নির্মাণ করছে মালয়েশিয়া, কিন্তু আসছে না ক্রেতা

প্রকাশ: জুলাই ১৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুতগতিতে একের পর এক শপিংমল নির্মিত হচ্ছে মালয়েশিয়ায়। তবে এসব শপিংমল ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে না। কুয়ালালামপুরের কাছে থ্রি দামানসারা মলের কম্পিউটারের দোকানের মালিক গোহ সুক লাম বলেন, তার দোকানে খুব বেশি ক্রেতার আগমন নেই, যা দেশটির খুচরা বিক্রেতাদের একটি সাধারণ সমস্যা। খবর আল জাজিরা।

প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ১ হাজারেও বেশি শপিং কমপ্লেক্স ছিল, যার মধ্যে রয়েছে মল, আর্কেড এবং হাইপারমার্কেট। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই রাজধানী কুয়ালালামপুরে। প্রধান শপিংমলগুলোয় সাধারণত মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। আবার কম জনপ্রিয়গুলোতেও কেনাকাটায় হয় প্রতিযোগিতা।

ন্যাশনাল প্রপার্টি ইনফরমেশন সেন্টারের (এনএপিআইসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,২০১৯ সালে যেখানে দেশটিতে একটি শপিংমলের প্রতি বর্গফুটের মূল্য ছিল ১ কোটি ৭৬ লাখ রিঙ্গিত, সেটাই ২০২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ রিঙ্গিত। ২০২২ সালে এর মূল্য সর্বনিম্ন ৭৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছিল।

গ্লো দামানসারার মতো ভাসমান ও কম জনপ্রিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সৃজনশীল কৌশল গ্রহণ করে থাকে। তবে অনেক শপিংমলের অবস্থাই বেশ নাজুক। অবস্থান সুবিধাজনক না হওয়ায় এবং বাজারে পণ্যের প্রাচুর্যের কারণে ভিড় টানতে ব্যর্থ হচ্ছে এসব শপিংমল। খাদ্য ও পানীয়ের আউটলেটগুলোই মূলত হয়ে উঠেছে এসব শপিংমলে মানুষের যাতায়াতের অন্যতম কারণ।  এসব খাবারের দোকান শপিংমলগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ ইজারা দেয়া জায়গা নিয়ে আছে, যা এক দশক আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

হারটামাস শপিং সেন্টারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রেস্তোরাঁ মালিক বলেছেন যে, কেবলমাত্র সঠিকভাবে নির্মিত শপিংমলেই ব্যবসা হবে। তিনি বলেন, ডেভেলপার যদি ভালোভাবে কাজ না করে, তবে আপনি আপনার কাস্টমারদের আকর্ষণ করতে পারবেন না। 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫