মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের কয়েক ঘণ্টা পর বেশির ভাগ রোগীর জ্ঞান ফিরে আসে। তবে কখনো কখনো দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য সার্জন রোগীকে কয়েকদিন ঘুমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সেজন্য তারা রোগীকে নিদ্রামূলক ওষুধ দিয়ে থাকেন।
চেতনানাশক ও ব্যথানাশক ওষুধ দেয়ার কারণে জ্ঞান আসার পর হাঁটাচলা করতে সামান্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগীর মাথা বা মুখ ফুলে গেছে। কিছু সময় যাওয়ার পর এ ফোলা ভাব কমে যায়।
নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট
অস্ত্রোপচারের পর বেশির ভাগ লোক ওয়ার্ডে ফিরে যায়। তবে কারো কারো নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) বা উচ্চ নির্ভরতা ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা লাগতে পারে। রোগী কতক্ষণ আইসিইউ বা এইচডিইউতে থাকবেন তা রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
পর্যবেক্ষণ
অস্ত্রোপচারের পর প্রথমবার রোগীর জ্ঞান ফিরে আসার পর সাধারণত প্রতি ১৫ মিনিটে চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ করতে আসেন।
রোগী কতটুকু সুস্থ আছে তা পরীক্ষা করার জন্য নার্স বা ডাক্তার স্নায়বিক পর্যবেক্ষণ (নিউরো অবস) নামক পরীক্ষা করেন।
রোগীর নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়, হৃৎস্পন্দন ও অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য আঙুলে পালস অক্সিমেট্রি লাগানো থাকে। রোগীর বুকে লাগানো থাকে স্টিকি প্যাড যাকে বলা হয় ইসিজি, রোগীর হার্টকে নিরীক্ষণ করার জন্য।
ব্রেন সার্জারি একটি বড় অপারেশন এবং এরপর রোগীকে বিশ্রাম নিতে হবে।
রোগীর অস্ত্রোপচারের ধরনের ওপর নির্ভর করে তাকে কয়েক দিনের জন্য শুয়ে থাকতে হতে পারে। অথবা মস্তিষ্কে ফোলা ভাব কমাতে বিছানায় মাথা উঁচু করে রাখতে হবে। বিছানায় থাকা অবস্থায় নার্স রোগীকে হাত ও পা নাড়াতে সাহায্য করেন। এতে রোগীর পেশি সক্রিয় থাকে এবং রক্তের জমাট বাঁধা এড়াতে সামান্য সাহায্য করে।
সূত্র: ক্যান্সার রিসার্চ অর্গানাইজেশন