ইলিশের বংশবিস্তার ও বেড়ে ওঠা নির্বিঘ্ন করতে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে মাছ ধরায় কয়েক ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। যদিও প্রতি বছর এ সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চাল বিতরণের নিয়ম রয়েছে। তবে তালিকায় নাম থাকলেও লক্ষ্মীপুরে শতাধিক জেলে চাল পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই ধাপে চার মাসের নিষেধাজ্ঞায় মাত্র এক মাসের চাল পেয়েছেন তারা। বাকি তিন মাস পাননি বলে দাবি করেন কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জেলেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কমলনগর উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১৩ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে ইলিশ ধরেন এমন জেলের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৩৩। তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে ভিজিএফ তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন ৫৪০ জন।
বঞ্চিত জেলেরা বলছেন, প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিল রামগতি থেকে চাঁদপুর জেলার ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। এছাড়া মে ও জুনে মেঘনা নদীতে ঝাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। চার মাস এ চাল পাওয়ার কথা থাকলেও তারা পেয়েছেন এক মাসের। কিছু জেলেকে দুই মাস আগে দ্বিতীয় মাসের চাল দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে শেষ দুই মাসের চালও একত্রে দেয়া হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের চাল দেননি। এর মধ্যে একটি ওয়ার্ডেরই কার্ডধারী ৪২ জেলে তিন মাসের চাল পাননি।
অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মীর্জা আশ্রাফুল জামাল রাসেল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কয়েকজন জেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করুক। দায় শুধু একা চেয়ারম্যানের নয়। ট্যাগ অফিসার যদি চাল বিতরণ না করেন, তাহলে চাল গেল কোথায়। তদন্তে অপরাধ প্রমাণ হলে আমার বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নিলে আপত্তি থাকবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাস বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময়ে বরাদ্দ দেয়া চাল জেলেরা যথাযথভাবে পাননি—এমন একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করতে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’