আদালত থেকেই সিদ্ধান্ত আসতে হবে —প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: জুলাই ০৮, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা; এটা তো সাবজুডিস (বিচারাধীন বিষয়)। আমরা সরকারে থেকে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারি না। কারণ হাইকোর্ট রায় দিলে সেটা আবার হাইকোর্ট থেকেই আসতে হবে।’

গতকাল গণভবনে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংগঠনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে যান যুব মহিলা লীগের নেতারা। তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময় কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ একটা কথা আমি না বলে পারছি না। আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলন দেখছি; আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে কোটা, সেটা বাতিল করতে হবে; নারীদের কোটা বাতিল করতে হবে, এ ধরনের নানা কথা শোনা যাচ্ছে। সেটা একবার বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু ফলটা কী হয়েছে?’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশনের হিসাবে দেখা যায়, আগে কোটা থাকায় মেয়েরা যে সংখ্যায় সুযোগ পেত, সে পরিমাণ সুযোগ কিন্তু গত কয়েক বছরে তারা পায়নি; এটাই হলো বাস্তবতা। এমনকি অনেক জেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ কিন্তু বঞ্চিত থেকে গেছে, চাকরি পাচ্ছে না। আর এ রকম বঞ্চিত হওয়ার কারণেই কেউ মামলা করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটা রায় দেন। হাইকোর্টের রায় আমরা সবসময়ই মেনে নিই। কিন্তু এখন আবার দেখলাম যে কোটাবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে, মেয়েরাও করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে, যারা এর আগে কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিল, তাদের কতজন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা দিয়েছিল আর কতজন পাস করেছিল, সে হিসাবটা একটু বের করা দরকার। তারা দেখাক যে পরীক্ষা দিয়ে তারা বেশি পাস করেছিল। আবার মেয়েরা বেশি পরীক্ষা দিয়ে বেশি চাকরি পেয়েছে কিনা, সেটা আগে তারা প্রমাণ করুক।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আন্দোলনের নামে যেটা আবার করা হচ্ছে, লেখাপড়ার সময় নষ্ট করা, এটার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।’

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা থেকে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শিক্ষকদের এ আন্দোলনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আমরা দিয়েছি সবার জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, যেটা আমরা করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিজীবী পেনশন পায়, বাকিরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যেন বঞ্চিত না থাকে, সেজন্য এ পেনশন স্কিমে বিভিন্ন স্তর দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পার, যুক্ত হতে পার নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।’

যুব মহিলা লীগ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সংগঠনটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রামের পথ বেয়েই আজ আমরা সরকারে আসতে পেরেছি।’

২০০২ সালের ৬ জুলাই ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদের নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।



সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫