টানা ৫ম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

প্রকাশ: জুলাই ০৭, ২০২৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঢাবি

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা। রোববার পঞ্চম দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। ফলে এ দিনও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। 

আজ দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল থেকেই কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, এ আন্দোলন থেকে শিক্ষক সমাজ পিছু হটবে না। এ আন্দোলন চলমান থাকবে, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। এ আন্দোলন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। এ আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়। এটা শুধু প্রত্যয়ের বিরুদ্ধে। যারা এ স্কিম চালু করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করতে চাচ্ছে, এ আন্দোলন তাদের বিরুদ্ধে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তিনদফা দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে আমাদের সুপারগ্রেড দেয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অদৃশ্য শক্তিবলে আমরা পাইনি। আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা থাকলেও তা আমরা পাইনি। এরপর আবার আমাদের উপর প্রত্যয় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী তিন শতাধিক শিক্ষক।আমাদের এ আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। তাই আমরা বলতে চাই, আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন থামাব না।’ 

অবস্থান কর্মসূচিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জাহিদ, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. এম ওহিদুজ্জামান, চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক সিদ্ধার্থ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ শিক্ষক নেতারা বক্তব্য দেন। 




সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫