গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আশার আলো

প্রকাশ: জুলাই ০৭, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আশাবাদ দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের দেয়া নতুন প্রস্তাব এবং এ নিয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়ারের কাতার সফরকে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তির ক্ষেত্রে ‘বড় অগ্রগতি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবে হামাস তাদের কবজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

শুক্রবার মোসাদপ্রধান ডেভিড বার্নিয়ার কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য দোহা সফর করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে মতপার্থক্য আছে তা নিরসনে একে জটিল আলোচনার প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতিসংক্রান্ত আলোচনা বা শান্তি সংলাপ ফের শুরুর জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে হামাস। এ আলোচনার একটি অপরিহার্য অংশ গোষ্ঠীটির কবজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস।

গত ১ জুন গাজায় যুদ্ধবিরতিসংক্রান্ত একটি তিন স্তরবিশিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন জো বাইডেন। তার প্রস্তাব অনুসারে, প্রথম স্তরে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। এ পর্বে রাফাসহ গাজার অন্যান্য জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হবে এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি কয়েকশ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে নিজেদের কবজায় থাকা কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। 

এ পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের কবজায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেবে হামাস এবং তার বিনিময়ে গাজার বাসিন্দারা পাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। পরিকল্পনার তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভবন-রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

হামাসের সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবের প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার ১৬ দিন পর নিজেদের কবজায় থাকা সব ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া শুরু করতে রাজি তারা। 

অন্যদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বাইডেনের প্রস্তাবের মূল কথা হামাস মেনে নিয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলছে। তার মানে স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে প্রথম পর্বে ছয় সপ্তাহের জন্য যে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনায় যাবে গোষ্ঠীটি।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের ভেতর ও বাইরে থেকে চাপ বাড়ছে। নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি ক্ষমতায় থাকেও তার পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু করতে চান ইসরায়েলের শীর্ষ জেনারেলরা। অন্যদিকে হামাসের ওপরও গাজার বেসামরিক মানুষের চাপ বাড়ছে। আঞ্চলিক দেশগুলো যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্তরিকভাবে সমর্থন করে, তারাও একটি চুক্তি মেনে নিতে হামাসকে ক্রমবর্ধমান চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫