গাজার বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম এখন বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল

প্রকাশ: জুলাই ০৬, ২০২৪

বণিক বার্তা অনলাইন

উত্তর গাজার বৃহত্তম স্টেডিয়ামটিতে এক সময় হাজার হাজার মানুষ ফুটবল খেলা দেখে বিনোদিত হতেন। এখন স্থানটি হয়ে উঠেছে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল। খবর এপি।

ইসরায়েলের আক্রমণের মুখে গাজায় খুব কমই অবকাঠামো এখন অবশিষ্ট রয়েছে। গাজা থেকে বের হতে পারা না ফিলিস্তিনিদের অনেকে ইয়ারমুক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে তারা খাবার বা পানির অল্প সরবরাহের মধ্যে বেঁচে থাকতে লড়ে যাচ্ছেন।

জুলাইয়ের কড়া রোদ থেকে বাঁচতে ধূলি-ধূসর শুকনো মাঠে কোনো রকমে কাপড় ঝুলিয়ে তাঁবু গেড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। সাইডলাইন খেলোয়াড়রা যেখানে বসতেন, সেখানে দেখা যায় উম বাশার নামের এক নারী প্লাস্টিকের পাত্রে একটি শিশুকে গোসল করাচ্ছেন।

উম বাশার জানান, তিনি একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজা শহরের শিজাইয়াহ এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নতুন অভিযানের পর এখানে আশ্রয় নেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সকালে জেগে উঠে দরজার সামনে ট্যাংক দেখতে পাই। আমরা কিছুই সঙ্গে নিতে পারিনি। একটা কাপড় বা খাবার কিছুই না।’

প্রায় ৭০ জনের সঙ্গে ইয়ারমুক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে পালিয়ে আসেন উম বাশার। শিজাইয়াহ এখান থেকে ২ মাইল উত্তর-পশ্চিমে, যুদ্ধের শুরুতে ব্যাপক বোমাবর্ষণে বেশিরভাগ এলাকায় খালি হয়ে গিয়েছিল। স্টেডিয়ামে আশ্রয় নেয়া অনেকেই বলছেন, পুরনো আবাসস্থলে ফিরে যাওয়ার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই।

হাজেম আবু থোরায়া নামে আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়িঘর ছেড়ে চলে এসেছি। আমাদের সবকিছু বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’

ইসরায়েলি সেনারা অব্যাহত হামলায় ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন করার পরও উত্তর গাজায় কয়েক লাখ মানুষ রয়ে গেছে। জাতিসংঘ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, ওই এলাকায় সাহায্য সরবরাহ শুরু হয়েছে।

গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৭ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫