জুনে বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীল ছিল খাদ্যপণ্যের দাম

প্রকাশ: জুলাই ০৬, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম জুনে স্থিতিশীল ছিল। এ সময় আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য খাদ্যশস্যের দাম নিম্নমুখী থাকলেও উদ্ভিজ্জ তেল, চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল, যা খাদ্যশস্যের গড় দাম স্থিতিশীল রাখার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। গতকাল প্রকাশিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স।

এফএওর মূল্যসূচক মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এফএও জানায়, জুনে খাদ্যপণ্যে বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ছিল ১২০ দশমিক ৬ পয়েন্ট, যা এর আগের মাসের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত। মে মাসে এফএওর  খাদ্যপণ্যের সংশোধিত সূচক ছিল ১২০ দশমিক ৪ পয়েন্ট। 

জুনে খাদ্যপণ্যের এফএও সূচক গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মার্চের তুলনায় ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ কম। সে সময় থেকে খাদ্যশস্যের দাম প্রতি মাসে ৩ শতাংশ করে কমেছে। কাজাখস্তান ও ইউক্রেনসহ কিছু প্রধান রফতানিকারক দেশে উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

প্রতিবেদনে এফএও আরো জানায়, জুনে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের দাম এর আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। চিনির মূল্যসূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্বে প্রধান চিনি উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল। মে মাসে দেশটিতে পূর্বাভাসের চেয়ে আখের উৎপাদন কম হয়েছে। এ কারণে পরের মাসে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে এফএওর চিনি মূল্যসূচক।

অন্যদিকে জুনে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ। তবে এ সময় স্থিতিশীল ছিল মাংসের দাম। 

এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ‍শুরুর পরের মাসেই বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের এফএও সূচক গত তিন বছরে সর্বনিম্নে নেমে যায়।

পৃথক এক প্রতিবেদনে এফএও চলতি বছর বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি বছর ২ হাজার ৮৫ কোটি ৪০ লাখ টন শস্য উৎপাদন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। শস্য উৎপাদনের এ পরিমাণ এর আগে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় ৩ শতাংশ বা ৭৯ লাখ টন বেশি। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ভুট্টা উৎপাদন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী মোট শস্য উৎপাদন বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখবে।

পূর্বাভাসে এফএও আরো জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য ভোগের পরিমাণ হতে পারে ২ হাজার ৮৫ কোটি ৬০ লাখ টন, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া আগামী মৌসুমের শেষ নাগাদ বিশ্বব্যাপী খাদ্য মজুদের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৮৯ কোটি ৪০ লাখ টন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫