সিলেটের
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার
মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত
আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় ৮ কোটি ৯৫
লাখ ৪৪ হাজার ৫০০
টাকার জমি ও ফ্ল্যাট
ক্রোকের (অ্যাটাচ)
আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার
(৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র
স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ
জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক ফারজানা ইয়াসমিনের আবেদনের পর এই আদেশ
দেয়া হয়।
দুদকের
পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত
করেন।
দুদক
সূত্রে জানা গেছে, ৯
কোটি ৭৬ লাখ ৯৭
হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ
অর্জনের অভিযোগে ২০২৩ সালে দুদক
সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) তার নামে
একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মোহাম্মদ
এনামুল হক বর্তমানে সিলেটের
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার।
দুদক
সূত্রে জানা গেছে, মৌজা
দর অনুযায়ী সম্পদের এসব মূল্য হিসাব
করা হয়েছে। প্রকৃত লেনদেন আরো বেশি।
আদালতের
আদেশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯
সালে রাজধানীর গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ লাখ টাকায়
তিন কাঠা করে ছয়
কাঠার দুটি প্লট কেনেন।
প্লট দুটিতে নয় তলা ভবন
নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৮
সালে খিলক্ষেতে ৭ লাখ ৮৪
হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি
কেনেন।
২০১৩
সালে কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহান ভবনে কমন স্পেসসহ
১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনেন। যার মূল্য ২৮
লাখ ৩০ হাজার ৫০০
টাকা। ২০১৪ সালে একই
ভবনে কারপার্কিং স্পেসহ ১৮৩৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট
কেনেন। এর মূল্য ৫১
লাখ ২৯ হাজার হাজার
টাকা।
২০১৫
সালে কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টার নামের ভবনে কারপার্কিংসহ ১৯০০
বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের
দুটি ফ্ল্যাট কেনেন। এগুলোর মূল্য ২ কোটি ৮
লাখ ৫০ হাজার টাকা।
২০১৬ সালে গাজীপুরে ৬২
লাখ ৪০ হাজার টাকার
পাঁচ কাঠা জমি হেবা
দলিলে মালিক হন।
২০১৭
সালে মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকায় তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে কার পার্কিংসহ চার
হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস কেনেন। প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫
হাজার টাকা করে। ২০১৯
সালে গুলশানে ৭২ লাখ টাকার
২ হাজার ৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট
কেনেন।
২০২০
সালে মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটে ১০ হাজার ৯৬৫
বর্গফুটের স্পেস কেনেন। যার মূল্য ২
কোটি ৩৫ লাখ ৯০
হাজার টাকা। ২০২০ সালে বাড্ডায়
চার কাঠা নাল জমি
কেনন। যার মূল্য ১৪
লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
দুদকের
অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ এনামুল হক বণিক বার্তাকে
বলেন, ‘আমার এসব সম্পদ
আয়কর ফাইলে দেখানো রয়েছে। দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া
পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি
না।’