খাতুনগঞ্জে কমেছে আদা-রসুনের দাম, বেড়েছে পেঁয়াজের

প্রকাশ: জুলাই ০২, ২০২৪

সুজিত সাহা, চট্টগ্রাম ব্যুরো

দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে দেশী ও আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাজারে দাম বাড়ার প্রভাবে দেশীয় বাজারে মসলাপণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও চাহিদা কমার কারণে আদা ও রসুনের দাম কমেছে। 

খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবারের পর হঠাৎ বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। সঙ্গে দেশী পেঁয়াজের দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

এর আগে কোরবানির ঘিরে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ঈদের পর দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করেছিলেন ভোক্তা ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদের দুই সপ্তাহ পর আদা-রসুনের দাম কমলেও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। 

পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০-৯১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।  অন্যদিকে ছোট আকারের দেশী পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৮৩-৮৫ টাকা ও বড় আকারের দেশী পেঁয়াজ ৮৬-৮৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারতে দাম বাড়ার কারণে আমদানির পরিমাণ কমে আসায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কোরবানির ঈদের পর চাহিদা কমে আসায় আদা ও রসুনের দাম কমছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীনা আদা কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমে ২৪৫-২৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি হওয়া আদার দাম ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকায়। এছাড়া চীনা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা কমে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে ঈদকে ঘিরে বাড়তি আমদানির কারণে বাজারে রসুনের সরবরাহ বেড়ে যায়। এ কারণে মসলাপণ্যটির দাম কমে যায় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদার সূত্রে জানা যায়, রোববার সীমান্ত বাজারগুলোয় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৮৬-৮৭ টাকা। এ কারণে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলাগুলোর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৩০০ টাকায় পৌঁছায়। পেঁয়াজ উৎপাদনের মৌসুম শেষ হয়ে আসায় দেশের বাজার এখন মজুদ ও ভারত থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে ভারতের দামের পার্থক্য কিংবা আমদানির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে দেশের বাজারে উত্থান-পতন হচ্ছে। ভারতের রফতানিতে নানামুখী শর্ত সরিয়ে না নিলে দেশের বাজারে আগামী মৌসুম পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। 

খাতুনগঞ্জের মেসার্স সৌমিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. জসিম উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ভারত থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে। এতে ভারতের পাশাপাশি দেশী পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফলে কৃষক ও বেপারিরা উৎপাদন ও মজুদ করে ভালো মুনাফা করছেন। ভারতের দামের সঙ্গে দেশী পেঁয়াজের দাম প্রায় সমান হওয়ায় আগামীতে ভালো মানের ও দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণযোগ্য পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রবণতা বাড়বে। 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫