রাজবাড়ীতে বাদামের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না কৃষক

প্রকাশ: জুলাই ০১, ২০২৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে চলতি মৌসুমে ১৯০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। তবে প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফলন খুব একটা ভালো হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষক। এখনো বাদাম পরিপক্ব হয়নি। জমিতে পানি জমে থাকায় অপরিপক্ব বাদাম তুলে নিচ্ছেন চাষীরা। তা বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম মিলছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষককে।

সরজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর চর, ধোপাকাদি, ইসাইল সিলিমপুর ও সাত্তার মেম্বারপাড়া চরাঞ্চলের কৃষক জমি থেকে বাদাম তুলছেন। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের পাশে গাছ থেকে বাদাম পরিষ্কার করছেন ও শুকিয়ে আঁটি করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।

কৃষাণী আলেয়া বেগম বলেন, ‘এবার আমাদের সব শেষ। ধারদেনা করে বাদামের চাষ করেছিলাম। বাদামে লাভ হলে দেনা পরিশোধ করব এমন আশাই ছিল। এখন যে অবস্থা তাতে আমাদের খরচের টাকাই উঠবে না। দেনা পরিশোধ করব কীভাবে।’

কৃষক ইউনুস খাঁ বলেন, ‘বাদাম চাষে প্রতি বিঘায় খরচ ২০ হাজার টাকা। এবার প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম উৎপাদন হয়েছে চার-পাঁচ মণ। অনেক জমিতে তারও কম; যা বিগত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। প্রকারভেদে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে সর্বোচ্চ পাঁচ মণ বাদাম ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করছি। খরচের টাকাও আমাদের উঠবে না।’

কৃষক টোকন বলেন, ‘ছয় বিঘা জমিতে এবার বাদাম চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বাদাম উৎপাদন হয়েছে ১৫-১৬ মণ, যা আমি ৪৫-৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। এতে লোকসান হবে ৮০-৯০ হাজার টাকা।’ তবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রণোদনা চেয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গোয়ালন্দে চলতি মৌসুমে ১৯০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এবার চাষের শুরুতে অতিরিক্ত খরা ও শেষ সময়ে চরে পানি বাড়ায় বাদামের ফলন ভালো হয়নি। অপরিপক্ব বাদাম তুলে নিচ্ছেন কৃষক। আগামীতে যাতে বাদামের ফলন ভালো হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে। আগামীতে অনাবাদি জমি কীভাবে বাদাম চাষের আওতায় আনা যায়, সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫