ব্যাটারদের এমন দুঃসময় ১০ বছরে দেখেননি তাসকিন

প্রকাশ: জুন ২৯, ২০২৪

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে ওঠা দলগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন গড় রান তুলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শীর্ষ তিন ব্যাটার শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ। এই পজিশনের মধ্যে একমাত্র ফিফটি করেছেন লিটন দাস। তাওহীদ হৃদয় ১২৮.৫৭ গড়ে করেছেন ১৫৩ রান। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী দলকে সাপোর্ট দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান (১১১ রান) ও মাহমুদউল্লাহর (৯৫) মতো জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ের কারণেই সুপার এইটে উঠেও সমালোচিত বাংলাদেশ দল। সেমিফাইনালে ওঠার অপূর্ব সুযোগ এলেও তা ব্যাটাররা কাজে লাগাতে পারেননি। গতকাল বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে ক্রিকেট দল। বিমানবন্দরে পেস বোলার তাসকিন আহমেদ জানিয়েছেন, ব্যাটারদের এমন দুঃসময় তিনি ১০ বছরে দেখেননি। 

তাসকিন বলেন, ‘আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্যান্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানও যুক্তরাষ্ট্রে ভুগেছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু তাও আসলে, এত লম্বা, আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনই ব্যাটিংয়ে এত লম্বা খারাপ সময় দেখিনি। আশা করি, এটা   দ্রুত কেটে যাবে।’

বিশ্বকাপের সেমিতে উঠতে ব্যর্থ বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি ও দুবাই হয়ে গতকাল ঢাকায় ফিরেছেন। ছুটিতে চলে যাওয়ায় আসেননি কোচিং স্টাফের বিদেশী সদস্যরা। আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে আসার কথা তাদের। 

সকালে ৯টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন বলেন, ‘ধীরে ধীরে তো উন্নতি হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরু থেকেই আমাদের পরিসংখ্যান ভালো ছিল না। আগের চেয়ে তো উন্নতি হচ্ছে। খালি মাইনাস পয়েন্ট দেখলে তো হবে না। এমনিতে মাইনাসেই আছি আমরা। প্লাসে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, করেই যাব। আপনারা হতাশ হচ্ছেন, স্বাভাবিক। আবার আমরাও আপনাদের ভালো জয় উপহার দেব। বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর। আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭৩ বলে ১১৬ রান করলেই বাংলাদেশ চলে যেত সেমিফাইনালে। তবে সেখানে বাংলাদেশের চেষ্টার ঘাটতি চোখে পড়ার মতো। এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে ঢের।

 তাসকিন এ নিয়ে বলেন, ‘আসলে সত্যি কথা বলতে, ভালোর তো শেষ নেই। হ্যাঁ, অনেক ভালো হতে পারত। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা, আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টা করেছি প্রথমে, ১২ ওভারের মধ্যে। পরে যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিল সবাই। তা-ও জিততে পারিনি।’

এ হতাশার মাঝেও”ইতিবাচক দিক আছে বলে মনে করেন দলের অভিজ্ঞ এই পেস বোলার। তিনি বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং বিভাগ যথেষ্ট ভালো করেছে। সুপার এইটে উঠেছি। সর্বপ্রথম এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে ইতিবাচক আছে। কিন্তু নেতিবাচকের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও একটু হতাশ। প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।

প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব। রিশাদ ১৪টি ও তানজিম ১১টি উইকেট নিয়েছেন। দুই তরুণ বোলারকে নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘তানজিম সাকিব, রিশাদ ওরা সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের মধ্যে ছিল, সেরা পাঁচে ছিল। রিশাদ এখনো আছে। এটা খুবই ইতিবাচক যে বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের তারকারা উঠে আসবে। এর মধ্যে বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে বিভিন্ন সামর্থ্য আছে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫