গবাদিপশুর ওপর কার্বন করারোপের পরিকল্পনা

প্রতি গরুর জন্য বার্ষিক ৯৬ ডলার দিতে হবে খামারিদের

প্রকাশ: জুন ২৮, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে খামারিদের গরুর ওপর করারোপের পরিকল্পনা উন্মোচন করেছে ডেনমার্ক। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেনমার্ক সরকার। করটি ২০৩০ সাল থেকে চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর সিএনএন। 

এ পরিকল্পনার আওতায় ডেনমার্কের দুগ্ধ খামারিদের প্রতি গরুর জন্য বার্ষিক ৯৬ ডলার কর দিতে হবে। ডেনমার্ক বিশ্বের শীর্ষ দুগ্ধ ও শূকরের মাংস রফতানিকারক দেশ। এছাড়া দেশটির ডেইরি খামার বৃহত্তম গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের উৎস। ডেনমার্ক সরকার এর পরিবর্তন চায়। দেশটির জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে নতুন কর পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক অন্যান্য প্রকল্পেও প্রায় ৩৭০ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে ডেনমার্ক সরকার।

ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন, ‘‌গরুর ফার্ম থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ওপর করারোপকারী প্রথম দেশ হিসেবে ডেনমার্কের কৃষিক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।’ 

এদিকে অধিকাংশ দুগ্ধ খামারি পরিকল্পনাটি স্বাগত জানালেও কিছু খামারি করারোপ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন। সম্প্রতি ইউরোপজুড়ে নানা অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে কৃষকদের বিক্ষোভের পর এ পরিকল্পনা ঘোষণা দেয়া হলো। বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা জলবায়ু সংকট তৈরিতে বৃহৎ অবদানকারী, যা গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে গবাদি পশুপালন এ সমস্যার বড় একটি অংশ। গরু মিথেন নামক শক্তিশালী গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করে। যাতে থাকে মিথেন গ্যাস।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ ডেনমার্কের সংসদে কর পরিকল্পনাটি অনুমোদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি টন গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের জন্য ৪৩ ডলার থেকে কর শুরু হবে। সেটা ২০৩৫ সাল নাগাদ টনপ্রতি ১০৭ ডলারে উন্নীত করা হবে। তবে প্রথম পর্যায়ে করছাড় পাবেন খামারিরা। তাদের পুরো করের মাত্র ৪০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে।

একটি ড্যানিশ গাভী প্রতি বছর গড়ে ৫ দশমিক ৬ টন গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করে। করছাড় দিলে ২০৩০ সালে প্রতিটি গরুর জন্য খামারিকে দিতে হবে ৯৬ ডলার, যা ২০৩৫ সাল নাগাদ প্রতিটি গরুর জন্য ২৪১ ডলারে উন্নীত হবে। ডেনমার্ক সরকার বলছে, করের অর্থ খামারিদের আরো পরিবেশবান্ধব হতে সাহায্য করবে। দেশটির সরকার দুই বছর পর পর্যালোচনা করবে কীভাবে কর থেকে তৈরি তহবিল ব্যবহার করা যায়।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫