ফিনিশড লুব্রিক্যান্টসের প্রস্তাবিত শুল্কায়ন পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যের দাবি

প্রকাশ: জুন ২৭, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

কফিনিশড লুব্রিক্যান্টসের অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের কারণে পরিবহন, বিদ্যুৎ, কৃষি উৎপাদন ও গার্মেন্টস শিল্পে খরচ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে লুব্রিক্যান্টস ইস্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। পাশাপাশি প্রস্তাবিত শুল্কায়ন পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক বাজারের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ কথা জানান।

সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ জমসের আলী বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানিকৃত ফিনিশড লুব্রিক্যান্ট এইচএস এর শুল্কায়ন মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৩ হাজার ডলার এবং সিনথেটিক লুব্রিক্যান্টস অয়েল এইচএসের শুল্কায়ন মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৫ হাজার ডলার পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক বাজারের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, লুব্রিক্যান্টস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশে ফিনিশড লুব্রিক্যান্টস আমদানিকারকদের একমাত্র সংগঠন। দেশে বার্ষিক প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন লুব্রিকেন্টসের চাহিদার মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ ফিনিশড লুব্রিকেন্টস জোগান দিয়ে আসছে এ আমদানিকারকরা।

মোহাম্মদ জমসের আলী বলেন, এ সেক্টর প্রতি বছর সরকারের রাজস্ব খাতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অবদান রাখছে। বাংলাদেশ সরকারের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এস আরও নং ২০২ আইন/২০২৪/৫৪ অনুযায়ী ফিনিশড লুব্রিক্যান্টস অয়েল যাহার এইচএস এবং সিনথেটিক লুব্রিক্যান্টস অয়েল যাহার এইচএস এর উপর প্রস্তাবিত শুল্কায়ন মূল্যে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

সভাপতি বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি মেট্রিক টন ফিনিশড লুব্রিক্যান্টের ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয়েছে মিনারেলের ক্ষেত্রে ৩০০০ ডলার এবং প্রতি মেট্রিক টন সিনথেটিক লুব্রিক্যান্টস অয়েল এর ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয়েছে ৫০০০ ডলার। উক্ত ফিনিশড এবং সিনথেটিক লুব্রিক্যান্টস এর প্রকৃত বাজার মূল্য ১৭০০-২০০০ ডলার। সে হিসেবে ফিনিশড লুব্রিক্যান্টস এর শুল্কায়ন মূল্য ৭০% এবং সিনথেটিক লুব্রিক্যান্টস এর শুল্কায়নমূল্য ১৫০% বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাজার মূল্য থেকে শুল্কায়ন মূল্য অতিরিক্ত ধার্য করার ফলে প্রতি মেট্রিক টন ফিনিশড লুব্রিক্যান্টসে ১৩০০ ডলার এবং প্রতি মেট্রিক টন সিনথেটিক লুব্রিক্যান্টসে ৩০০০ ডলার পাচার করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে করে সরকারি সুবিধায় নিশ্চিতভাবে অর্থ পাচার বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের বর্তমান ডলার সংকটকালে এভাবে ডলার পাচার করার সুযোগ সৃষ্টির পেছনে হয়তো কোনো দুরভিসন্ধি লুকিয়ে আছে।

জমসের আলী বলেন, ফিনিশড লুব্রিক্যান্টস এর অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের কারণে পরিবহন, বিদ্যুৎ, কৃষি উৎপাদন ও গার্মেন্টস শিল্পে খরচ বৃদ্ধি পাবে। যে কারণে সরকারের বর্তমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা নিশ্চিতভাবে ব্যর্থ হবে। লুব্রিক্যান্টসের মূল্য বৃদ্ধি হলে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে সকল নিত্য পণ্যসামগ্রীতে। বিদ্যুতের দাম বাড়বে, এতে উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পাবে ফলশ্রুতিতে পণ্যসামগ্রীর মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫