আগামীকাল বাজেট পাস

বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর অব্যাহতি সুবিধা বহাল থাকছে

প্রকাশ: জুন ২৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) বিনিয়োগকারীদের দেয়া কর অব্যাহতি সুবিধা প্রস্তাবিত বাজেটে বাতিলের প্রস্তাব করা হলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হতে যাচ্ছে আগামীকাল। তার আগে গতকাল ভেটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

ইজেডগুলোয় স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেই এমনটা করা হয়েছে বলে জানান এনবিআর কর্মকর্তারা। তবে কর অবকাশ সুবিধা নিতে হলে বিনিয়োগকারীদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) গ্রহণ, যথাযথভাবে হিসাব সংরক্ষণ ও আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। 

কার্যক্রমের শুরু থেকে এক দশক ধরে ২০-১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছেন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে প্রথম তিন বছর তারা সম্পূর্ণ কর মওকুফ পান। এরপর চতুর্থ বছরে ৮০ শতাংশ, পঞ্চম বছরে ৭০ ও ষষ্ঠ বছরে এ সুবিধা পান ৬০ 

শতাংশ হারে। কর মওকুফের এ হার বছরে ১০ শতাংশ হারে কমে দশম বছরে তা নেমে আসে ২০ শতাংশে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ইজেডগুলোর জন্য এ সুবিধা অব্যাহত রাখা হলেও বেসরকারি ইজেডের ক্ষেত্রে তা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ ঘোষণার পর ইজেডে বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সে পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির একাধিক সূত্র বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে কাস্টমস আইন, ২০২৪-এর স্ট্যাটিউটরি রেগুলেটরি অর্ডার (এসআরও) নম্বর ১৮৪ অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ওপরও কর ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্প ইউনিটের মূলধনি যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ উপকরণ আমদানিতে দিতে হবে ১ শতাংশ শুল্ক, যা এতদিন অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। সরকারের এ সিদ্ধান্তেও বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না এবং পুরনো বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মালিকরা।

এনবিআর সূত্রে বলছে, সিদ্ধান্তটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। এসআরওর বিষয়ে বাজেটের পরও সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ আছে।

এদিকে এনবিআর সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ প্রস্তাব করা হয়েছে সে সিদ্ধান্তও বহাল থাকছে। কেননা এটি বাতিলের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দিয়েছেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫