বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর

সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারী যেকোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না

প্রকাশ: জুন ২৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ‘সাম্রাজ্যবাদী ভারতের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিয়ে, দেশের জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন অব্যাহত রাখার চক্রান্ত মোকাবেলায় দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে।’

গতকাল গণভবনে আয়োজিত ভারত সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বদরুদ্দীন উমর। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান।

বিবৃতিতে ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর প্রদানের কঠোর সমালোচনা করে বলা হয়, ‘জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারী যেকোনো চুক্তি সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। শেখ হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার মূল্য পরিশোধ করতে ভারতের হাতে একের পর এক দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিচ্ছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে না’। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘২০১০ সালে নদী নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যে ফ্রেমওয়ার্ক করা হয়েছিল সেখানে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গা অববাহিকাভিত্তিক সমাধানের দিকে নজর দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৪ বছরে তার কিছুই হয়নি।’ 

মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৫ বছর ধরে কানেক্টিভিটির নামে হাসিনা সরকার ভারতের স্বার্থ দেখে এসেছে। এভাবে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা কি দেশ বিক্রির সঙ্গে তুলনীয় নয়?’

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্তে হত্যাকাণ্ডে বিএসএফকে দায়মুক্তি দিয়ে চলেছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক গত ১৫ বছরে কয়েক শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিককে গুলি করে হত্যার মতো ঘটনা ইউরোপসহ পৃথিবীর কোনো দেশের সীমান্তে ঘটে চলে কি?’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫