ক্যানালিসের প্রতিবেদন

চলতি বছর চীনে কম্পিউটার পণ্য বিক্রি আরো কমবে

প্রকাশ: জুন ২৫, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের বাকি সময় চীনে, নোটবুক, ওয়ার্কস্টেশন থেকে শুরু করে বেশির ভাগ কম্পিউটার পণ্যের বিক্রি আরো কমবে। সম্প্রতি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে কম্পিউটার পণ্যের বিক্রি ১২ শতাংশ কমেছে, যেখানে বৈশ্বিক পর্যায়ে বিক্রি বেড়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের বাকি সময়ে চীনে ডেস্কটপ কম্পিউটার বিক্রি বার্ষিক হিসেবে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। মূলত কমার্শিয়াল খাতের চাহিদার কারণে বিক্রি বাড়তে পারে। তবে নোটবুকের বিক্রি শতাংশ কমবে।

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্যিক খাতের চাহিদা কমায় চীনে কম্পিউটার পণ্য বিক্রিতে প্রভাব পড়ে। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় কোম্পানিগুলোর ব্যয় কমে আসায় বিক্রি নিম্নমুখী ছিল। ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির হার শতাংশ নিম্নমুখী ছিল। তবে চলতি বছর বিক্রি কম হলেও চীনের স্থানীয় বাজারসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ২০২৫ সালে বিক্রি ১২ শতাংশ বাড়বে।

চীনের বাজারে বিভিন্ন উপাদান, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যারসহ সব খাতে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ের ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে জিনচুয়াং।

ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কম্পিউটার মার্কেটের পাশাপাশি ট্যাবলেট ডিভাইসের ক্ষেত্রে এআই অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। প্রথম প্রান্তিকে নোটবুক ডেস্কটপ কম্পিউটারের বিক্রি যথাক্রমে ১৩ ১১ শতাংশ কমেছে। যেখানে ট্যাবলেট ডিভাইসের বিক্রি ২২ শতাংশ বেড়েছে।

চীনের বাজারে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে হুয়াওয়ে। সাশ্রয়ী মূল্যে মেটপ্যাড এসই সিরিজ প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে কোম্পানিটি মেটপ্যাড প্রো সিরিজ বাজারজাত করেছে। অন্য কোম্পানিগুলো এখনো রেকর্ডিং, ট্রান্সলেশন, নোট নেয়ার মতো বিভিন্ন ফিচার নিয়ে কাজ করছে।

চলতি বছরের শুরুতে অবশ্য চীনে কম্পিউটার বিক্রি বছরওয়ারি হিসাবে দশমিক শতাংশ বাড়ার কথা জানিয়েছিল আরেক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি)

চীনে কম্পিউটার বিক্রি দুটি কারণে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। প্রথমত, এআই-নির্ভর কম্পিউটারের চাহিদা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে মহামারী-পরবর্তী খরচের বিষয়ে সতর্ক থাকা ব্যবহারকারীরাও নতুন ডিভাইস ক্রয়ে ঝুঁকছেন। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাত সংকটাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে।

নোটবুক বিক্রি দশমিক শতাংশ বেড়ে কোটি ৫১ লাখ ইউনিট ছাড়িয়ে গেছে। তবে ডেস্কটপের বিক্রি দশমিক শতাংশ কমে কোটি ২১ লাখ ইউনিটে নেমে এসেছে।

বিক্রি বাড়ার হার খুব বেশি না হলেও প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের তথ্যানুযায়ী, সব খাতে কম্পিউটারের চাহিদা বাড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। উইন্ডোজ ১১-এর ব্যবহার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচারযুক্ত কম্পিউটারের কারণে বছরের বাকি সময় গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

ক্যানালিসের প্রধান বিশ্লেষক ইশান দত্ত বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কম্পিউটারের বিক্রি বৃদ্ধি বছরের বাকি সময়ের জন্য ইতিবাচক বাজার ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের বাকি প্রান্তিকেও কম্পিউটারের বৈশ্বিক বাজার আরো প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। কেননা উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারের জন্য গ্রাহকদের একটি বড় অংশ তাদের ডিভাইস পরিবর্তন করছে। বর্তমানে আগের তুলনায় কম্পিউটারের ব্যবহার ক্রয় চাহিদা বাড়ছে। ফলে অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট উৎপাদনকারীরা পণ্য বাজারজাতে বড় ধরনের সুবিধা পাবে।

প্রযুক্তিবিশারদ বাজারসংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এআই সক্ষমতাযুক্ত কম্পিউটার বাজারে প্রবেশ করবে। এটি বাজারকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি মহামারী-পরবর্তী সময়ে গ্রাহকদের ক্রয় চাহিদাও বাড়াবে। আগের এক প্রতিবেদনে ক্যানালিস জানিয়েছে, চলতি বছর পাঁচ কোটির বেশি কম্পিউটারে এআই সক্ষমতা থাকবে।

এআইয়ের প্রভাবকেই কম্পিউটারের চাহিদা বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছে আইডিসি। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী ২০২৪ সালে ৫৫ শতাংশ বাজার হিস্যা এআইয়ের দখলে থাকবে এবং ২০২৭ সাল নাগাদ তা ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫