কালো টাকা সাদা করে দুদকের মামলার আসামি সাবেক সাবরেজিস্ট্রার

প্রকাশ: জুন ২৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ ১৯ এর এএএএএ ধারা অনুযায়ী ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করে সাদা করেছেন এক সাবেক সাব রেজিস্ট্রার। তবে ওই টাকার মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উৎস সম্পর্কে তিনি গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। এছাড়া তার নামে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার নাম রেহেনা বেগম। তিনি শরিয়তপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার।

রোববার (২৩ জুন) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রেহেনা বেগম নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীনে সাব-রেজিস্ট্রার পদে মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে যোগদান করেন। তার স্বামীর নাম এ.কে.এম ফয়েজ উল্যাহ। তারা ঢাকার গেন্ডারিয়াতে থাকেন।

২০১০-২০১১ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত ১৫ বছরে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে— বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২ হাজার ৪১৬ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ ২০০৪ সালে কিনেছিলেন। দক্ষিণ বনশ্রীতে ৩ দশমিক ৫০ কাঠা জমির ৫০ শতাংশ ২০০৩ সালে কিনেছিলেন। গেন্ডারিয়াতে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত সাড়ে পাঁচ তলা ভবনের ৫০ শতাংশ ২০০৩ সালে কিনেছিলেন। বাড্ডার কাঠালিয়া মৌজায় ২০০৮ সালে ৪ কাঠা জমি কিনেছিলেন। ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে ২০০৩ সালে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। উত্তরায় রাজউকের প্রকল্পে ১ হাজার ৬৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ২০১২ সালে বরাদ্দ পান। পূর্বাচল রাজউক প্রকল্পে ২০১৭ সালে ১০ কাঠা জমি কেনেন। আহসান মঞ্জিল সুপার মার্কেটে ২০১৯ সালে একটি দোকান কেনেন। ভোলায় ২০১৪ সালে ৩৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি কেনেন।

ওই সময় তিনি বেতন, বাড়ি ভাড়া প্রাপ্তি, এফডিআর ও অন্যান্য ব্যাংক জমার সুদ, কৃষি খাত থেকে এবং জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রি থেকে মোট আয় করেন ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৬১ টাকা এবং আয়কর পরিশোধসহ মোট পারিবারিক ব্যয় করেন ৮৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৫ টাকা। ওই সময়ের মধ্যে তিনি ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ ১৯ এর এএএএএ ধারা অনুযায়ী ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করে সাদা করেছেন। তবে ওই টাকার মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উৎস সম্পর্কে তিনি গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। এছাড়া ১ কোটি ৯৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫