চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার প্যাট কামিন্স।
অ্যান্টিগায় শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এই ডানহাতি পেসার আজ
রোববার সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও টানা তিন বলে উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান। এমনকি
টানা চার বলে চার উইকেট নেয়ার সুযোগও এসেছিল তার সামনে। যদিও দিনটি ছিল আফগানদের। ফলে
কামিন্সের হ্যাটট্রিক বিফল করে দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে রশিদ খানের দল।
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস
ভেল স্টেডিয়ামে আজ ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে এবং ২০তম ওভারের প্রথম বলে করিম
জানাত ও দ্বিতীয় বলে গুলবাদিন নায়েবকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন কামিন্স।
তার এই কৃতিত্বেই আফগানিস্তান শেষ দিকে চাপে পড়ে ১৪৮ রান তুলতে সমর্থ হয়।
পঞ্চম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে
দুটি হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখালেন কামিন্স। তার আগে টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিক
করেছেন শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গা, নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, সার্বিয়ার মার্ক পাভলোভিচ
ও মালটার ওয়াসিম আব্বাস।
টানা দুটি আন্তর্জাতিক
ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় কামিন্স। তার আগে এই কীর্তি আছে পাকিস্তান গ্রেট
ওয়াসিম আকরামের। ১৯৯৯ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্টে দুটি হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেস বোলার জিমি ম্যাথিউস একই টেস্টের দুই ইনিংসে হ্যাটট্রিক
করার কীর্তি গড়েন ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তার দুটি হ্যাটট্রিকই হয়েছিল
একই দিনে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক
হয়েছে কিনা, সেটি জানতেন না কামিন্স। সেই প্রসঙ্গটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইনিংস শেষে
সম্প্রচার চ্যানেলকে কামিন্স বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা মনে থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একশর বেশি
ম্যাচ খেলার পর টানা দুটি হ্যাটট্রিক করা অসাধারণ ব্যাপারই বটে।’
ডাবল হ্যাটট্রিকের (চার
বলে চার উইকেট) কীর্তি গড়ার সুযোগও ছিল তার সামনে। ডেভিড ওয়ার্নার ডিপ স্কয়ার অঞ্চলে
নানজেলিয়া খারোতের ক্যাচ না ছাড়লে সেই কীর্তি গড়তেন কামিন্স। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপে টানা চার বলে চার উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যামফার।