রায়েন্দা-মাছুয়া রুটে ফেরি বন্ধ

বাগেরহাটে বিকল্প নৌপথে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া

প্রকাশ: জুন ২৩, ২০২৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটের শরণখোলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রায়েন্দা-মাছুয়া নৌ-রুট। প্রতিদিন রুটে ২০-২৫ হাজার মানুষ সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারাপার হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ফেরিঘাট পার্শ্ব রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২৭ মে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২৬ দিন পার হলেও সংস্কার হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত ফেরিঘাট। ফেরি বন্ধ থাকায় বিকল্প নৌপথে বাড়তি ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলেশ্বর নদের দুই পাড়ের বাসিন্দাকে। সড়ক বিভাগ বলছে, সংস্কারকাজের অনুমতি চাওয়া হয়েছে, অনুমতি পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর রায়েন্দা-মাছুয়া রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। প্রতিদিন ফেরিতে ২০-২৫ হাজার মানুষ সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করে। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২৭ মে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

সরজমিনে দেখা গেছে, রায়েন্দা অংশের ঘাট পার্শ্ব রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেরির পন্টুন গ্যাংওয়ে (পন্টুনের সংযোগ সড়ক), স্টিলের রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পার্শ্ব রাস্তা ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি কিছু অংশ নদে বিলীন হয়ে যায়। কারণে বাগেরহাটের শরণখোলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যোগাযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ফেরিটি বন্ধ হয়ে যায়। ফেরি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছ বলেশ্বর নদের দুই পারের মানুষ। ফেরিঘাট থেকে কিছু দূরে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ট্রলারঘাট থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। তবে ভ্যান, পিকআপ, নছিমন ট্রাক পারাপার না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফেরিঘাট পার্শ্ব রাস্তা দ্রুত সংস্কার করে ফেরি চলাচলের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রায়েন্দার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘রেমালে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে ঘাটটি নষ্ট থাকায়। জরুরি প্রয়োজনেও কোথাও যেতে পারছি না। ট্রলারে যেতে ৫০-১০০ টাকা দিতে হয়। তাও তাদের ইচ্ছামমতো ছাড়ে, ভ্যান   পণ্য নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বড় মাছুয়ার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ফেরি বন্ধ থাকায় ঈদের সময় অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে যাননি, আবার রায়েন্দা থেকে কেউ আসেননি। দ্রুত ফেরি চালু করা দরকার। তা না হলে আমাদের ভোগান্তি আরো বাড়বে।

সড়ক বিভাগ বলছে, ফেরিঘাট পার্শ্ব রাস্তা সংস্কার করার প্রস্তাব প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

সড়ক বিভাগ বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ফেরির পন্টুন, ঘাট পার্শ্ব রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু জায়গা একেবারে ওয়াশআউট হয়ে গেছে। এটি সংস্কারের প্রস্তাব অর্থ বরাদ্দের প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে পারব।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫