সীমান্ত হত্যা তিস্তা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন—এম হুমায়ুন কবির

প্রকাশ: জুন ২২, ২০২৪

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে তৈরির কিছু নেই। চলমান বোঝাপড়াটাকেই শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে। যেগুলো সম্ভাবনার জায়গা আছে, সেগুলোর বিষয়ে অগ্রগতি হলে সফরটিকে সফল বলেই আমরা মনে করব। যেমন সীমান্ত হত্যা যদি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি হয়, সেটিও অগ্রগতি। এর পাশাপাশি বহুকাল ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা সমস্যার সমাধান দরকার। ভারতে পণ্য রফতানিতে আধাশুল্কের মতো সমস্যাগুলোর সমাধান হওয়ার মতো বিষয়গুলোও আমাদের জন্য সফলতা।

ভারতের দিক থেকে যদি বলি তারা হয়তো কানেক্টিভিটি বাড়াতে চাইবে। এর পাশাপাশি নতুন এরিয়ায় তারা যেতে চাইবে বলে শোনা যাচ্ছে, যেমন মোংলা বন্দর। এখন যেতে চাওয়া আর কার্যকর হওয়া ভিন্ন বিষয়। এখানে নতুন দিক দিয়ে নতুন সম্পর্ক উন্মোচনের বিষয়টি আলোচনা হবে হয়তো। সেটি যাতে কার্যকরযোগ্য হয় ও উভয়েই সুষমভাবে সুযোগ-সুবিধা পায় তা মনে রাখতে হবে।

আমাদের দিক থেকে মনে করি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় কাঠামোটার মধ্যে এটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা দুই পক্ষ চেষ্টা করতে পারি। ভারত ও চীনের মধ্যে বিরাজমান প্রতিযোগিতা দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা সঠিক হবে না। বরং ভারতের উচিত বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মতের আলোকে দেখা। কারণ বাংলাদেশের দিক থেকে আমরা দ্বিপক্ষীয় ফ্রেমের আলোকেই সম্পর্কটা বাড়াতে ও সমৃদ্ধ করতে চাই। চীনের আলোকে দেখা উচিত হবে না। আমাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ আছে। একটি বিষয় এখানে স্পষ্ট যে ভারতের সঙ্গে যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করা যায়, সেগুলো নিয়েই করব। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে যেসব ইস্যুতে কাজ করা যায়, তা-ই করব। এটি করতে গিয়ে দুটি পক্ষকেই আশ্বস্ত করব যে ভারত ও চীন কারোরই যাতে ক্ষতি না হয়, সেটি বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে। এ কাজগুলো করতে গিয়ে আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার আলোকে এ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গেলে দুই দেশই লাভবান হবে। এর পাশাপাশি দুটি দেশের জনগণও সন্তুষ্ট হবে।

এম হুমায়ুন কবির, সাবেক রাষ্ট্রদূত


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫