ঈদের পর বাজারে ক্রেতা কম, দাম বেশি

কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০

প্রকাশ: জুন ২২, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের পর রাজধানীর কাঁচাবাজারে খুচরা পর্যায়ে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা কমে হয়েছে ১৮০ টাকা। সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম কিছুটা বাড়তি চাইছেন বিক্রেতারা।

সরজমিনে ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীতে এখনো পুরোপুরি গ্রামে যাওয়া মানুষ ফেরেনি। ফলে বাজারগুলোয় ক্রেতাদের আনাগোনা কম দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বিক্রেতা বা খোলা দোকানের সংখ্যাও ছিল কিছুটা কম। তার পরও কাঁচা বাজারে পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গেছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধনে পাতা ৩৫০ টাকা, শসা ১৫০ টাকা, টমেটো ১৫০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, লতি প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, কচুর মুখী প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা এবং ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশী পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা ও আলুর কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে। এছাড়া প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা কলা ও লেবু। ঈদের আগের বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে টমেটোর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা, গাজরের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে, শসার দাম বেড়েছে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা, ধনে পাতার দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল আজিজ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌ক্রেতা কম। বড় কোনো ট্রাকও আসেনি এ কয়দিন। এজন্য সরবরাহ কম হওয়ায় দাম একটু বেশি। তবে ঈদের আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। ট্রাক আসা শুরু হলে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমবে। এ সময়ে বিক্রিও কিছুটা কম হচ্ছে। এজন্য অনেক দোকানদার বাজারে আসেননি।’

গত দুইদিনের তুলনায় গতকাল ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। তবে কয়েকটি বাজারে দাম রাখা হচ্ছে ১৮৫ টাকা কেজি। বাজারগুলোয় সোনালি মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২০ টাকা কমে ৩০০ টাকা, দেশী মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪০০ টাকা, গরুর বট ৩০০-৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোয় এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশী মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে এক কেজি শিং মাছ (চাষের) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাতল ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ টাকায়, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, মলা ৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫