নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রামে ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর

প্রকাশ: জুন ২১, ২০২৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চর, দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে এসব নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিমজ্জিত হয়েছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন ফসলের খেত।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর এলাকার আমজাদ হোসেন জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটল খেত তলিয়ে গেছে। পানি আরো বৃদ্ধি পেলে ঘর-বাড়িতে পানি উঠবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় ৪৫৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। 

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, চরের ঘর-বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি আরো বৃদ্ধি পেলে ঘরের ভেতর প্রবেশ করবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবেলায় ১৩ লাখ টাকা, ২৫১ মেট্রিক টন চাল, ২৫০ বান্ডিল ঢেউটিন, নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও যদি কোনো প্রয়োজন হয় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে  তিনি জানান।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫