পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছেন কর্মজীবী
মানুষের একটা বড় অংশ। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে। নেই চিরচেনা
যানজট। যানবাহনের হর্নের তীব্রতাও কমে এসেছে। ফাঁকা নগরে স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন রাজধানীবাসী।
তবে গণপরিবহন সংকটে কিছুটা অসুবিধায় পড়ছেন কেউ কেউ।
এবার সরকারি অফিসে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে গত শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে।
সব মিলিয়ে এবার ঈদে টানা পাঁচদিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। অন্যদিকে আজ রোববার
(১৬ জুন) থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি।
টানা ছুটিতে বদলে গেছে রাজধানীর সড়ক-মহাসড়ক, অলি-গলির চিত্র। যানজট
নেই। বিভিন্ন ফুটপাতে হকার বসলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা গেছে কম।
ফাঁকা ঢাকায় রাজত্ব করতে দেখা গেছে কোরবানীর পশুবাহী যানবাহনকে। ট্রাক
কিংবা পিকআপে গরু বা ছাগল চাপিয়ে ছুটছে মানুষ। সড়কে পথচারীর বেশেও দাপট কোরবানির পশুর।
প্রাইভেট কারকে ঢাকার যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা। ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল যেমন কমেছে, তেমনি প্রাইভেট
কার চলাচলও কমে এসেছে।
রাজধানীতে চলাচলরত প্রাইভেট কারের সংখ্যার একটা ধারণা পাওয়া যায় ঢাকা
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজার তথ্যে। এ দ্রুতগতির উড়ালসড়ক দিয়ে প্রতিদিন যত গাড়ি
চলে, তার ৯০ শতাংশের বেশি প্রাইভেট কার। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য পর্যালোচনা
করে দেখা গেছে, স্বাভাবিক কর্মদিবসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন
গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার যানবাহন চলে। গত শনিবার (১৫ জুন) সংখ্যাটি ৩২ লাখে নেমে এসেছে।