ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশ: জুন ১৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারত যেমন আশ্রয়-খাদ্য-রসদসহ সবরকম সহায়তা দিয়েছে, তেমনি হাজার হাজার ভারতীয় সৈন্য এ দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। সে কারণে আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।

বুধবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি আয়োজিত ‘বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচন এবং বাংলাদেশ ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। শুধু সীমান্ত, শরণার্থী শিবির বা রণাঙ্গনেই নয়, কূটনৈতিক অঙ্গন ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ভারত সরকার এবং ভারতীয় জনগণের ভূমিকা ও অবদান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় নানাভাবে জড়িয়ে রয়েছে। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক ও জনবহুল দেশ। এত বড় ভূখণ্ড, এত প্রদেশ, এত রকমের ধর্ম-বর্ণ-ভাষাভাষীদের নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটা দেশ যে তাদের গণতান্ত্রিক যাত্রা ধরে রাখতে পেরেছে, তার কৃতিত্ব ভারতের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ ও সাধারণ ভোটারদের।

সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক, সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রচার সম্পাদক অভিজিত বনিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের সভাপতি ড. ফজলে আলী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, নারী নেত্রী জেসমিন প্রেমাসহ সচেতন নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ ও বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫