পরিষ্কার রাখলে ফ্রিজ ভালো থাকবে দীর্ঘদিন

প্রকাশ: জুন ১৩, ২০২৪

একটি স্মার্ট কিচেনের অন্যতম শর্ত হলো একে হতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। স্মার্ট কিচেনকে স্মার্টলি গুছিয়ে রাখতে তাই কিচেনে থাকা সব অনুষঙ্গ রাখতে হবে পরিষ্কার। এক্ষেত্রে কিচেনে থাকা ফ্রিজের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। কারণ দৈনন্দিন কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে রান্না করা সব খাবারই রাখা হয় এতে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার করা না হলে এটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। ফ্রিজের অপরিষ্কার খাবারে নানা রকম জীবাণুও বাসা বাঁধতে পারে। তাই ফ্রিজের দরকার বিশেষ যত্ন

ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের বাইরের ময়লা ও ভেতরের গন্ধ দূর করার রয়েছে নানা উপায়—

ফ্রিজের কয়েল পরিষ্কার করুন

ফ্রিজ পরিষ্কারের জন্য সবার আগে এর বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের পেছনে ও নিচে কয়েলের ধুলাবালি নরম সুতি কাপড় বা নরম ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে পরিষ্কার করে নিতে হবে। 

ফ্রিজের খাবার সরিয়ে ফেলুন

পরিষ্কার করার আগে সংরক্ষিত সব খাবার বের করে ফেলতে হবে। এতে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়। ফ্রিজ পরিষ্কারের আগে যথাসম্ভব এর মধ্যে কম খাবার রাখাই ভালো। এতে বাইরে থেকে খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 

বরফ সরিয়ে ফেলুন

ফ্রিজ পরিষ্কার করার জন্য ১ বা ২ ঘণ্টা আগে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে নিলে ফ্রিজে জমা সব বরফ গলে যাবে। বরফ তোলার ক্ষেত্রে তখন শারীরিক পরিশ্রম কম হবে। 

শেলফ ও ট্রে পরিষ্কার করুন

ফ্রিজের ট্রে ও শেলফগুলো খুলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সরাসরি গরম পানিতে মোটেও ভিজিয়ে রাখা যাবে না। কারণ ফ্রিজের মধ্যে এগুলো সবসময় ঠাণ্ডা থাকে। হঠাৎ করে গরম পানি দিলে চিড় ধরতে পারে। তাই ট্রে ও শেলফগুলো কুসুম গরম পানিতে কোমল ডিটারজেন্ট মিশিয়ে স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে জীবাণু দূর হয়ে যাবে। ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো ফ্রিজে ঢোকানো যাবে না। ধোয়ার পর আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকানোর জন্য রোদে দিতে হবে কিছুক্ষণ। তবে ট্রে ও শেলফগুলো কড়া রোদে না দিয়ে হালকা রোদে শুকাতে হবে।

ফ্রিজের ভেতর ও বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন

ফ্রিজের ভেতর ও বাইরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য বেকিং পাউডার ও কোমল ডিটারজেন্ট মিশিয়ে বোতলে ভরে ফ্রিজের ভেতরের অংশে স্প্রে করতে হবে। তারপর নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। বাইরের অংশও একইভাবে পরিষ্কার করতে হবে। অনেক সময় ফ্রিজ পরিষ্কার করার পরও খাবার, মাছ, মাংস ইত্যাদির দুর্গন্ধ থেকে যায়। এ সমস্যা দূর করতে সাদা ভিনেগার মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। 

ফ্রিজ পরিষ্কার হয়ে গেলে ফ্রিজের বৈদ্যুতিক সংযোগ সঙ্গে সঙ্গে না দিয়ে কিছুক্ষণ পর চালু করা উচিত। তারপর এক বোতল পানি রেখে কিছুক্ষণ পর পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে খাবার ঠাণ্ডা হচ্ছে কিনা। ঠাণ্ডা হলে বাকি খাবারগুলো রাখতে হবে। 

ফ্রিজ পরিষ্কারে কিছু সতর্কতা

ঘরোয়া নিয়মে ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তা না হলে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

ফ্রিজ পরিষ্কার করার আগে ভালোভাবে নিশ্চিত হোন এর বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ আছে কিনা। 

  ফ্রিজ পরিষ্কারে খসখসে কাপড় ব্যবহার করবেন না। সবসময় নরম কাপড় ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। নয়তো ফ্রিজের বিভিন্ন অংশের প্লাস্টিক আবরণ উঠে যেতে পারে।

  ঘরোয়া নিয়মে ফ্রিজ পরিষ্কারের পর খাবার রাখার আগে ফ্রিজ ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন। 

  এটি পরিষ্কারের সময় ফ্লোরে যে পানি পড়েছে সেগুলো ভালোভাবে মুছে নিন।

  ফ্রিজ কখনই দেয়াল ঘেঁষে রাখবেন না। দেয়াল থেকে একটু দূরে রাখুন।

  এতে শাকসবজি রাখার আগে আঁটি খুলে রাখুন। তাহলে ফ্রিজে পোকামাকড় থাকার সম্ভাবনা থাকবে না। 

  ফ্রিজ বারবার খুলবেন না। দরজা খোলা বা আটকানোর সময় নিশ্চিত হোন যে ঠিকভাবে আটকিয়েছেন।


উৎসব ছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য ফ্রিজ। যত্নের অভাবে এটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মাসে অন্তত একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করা উচিত। এতে খাবার যেমন থাকবে জীবাণুমুক্ত, তেমনি ফ্রিজ ভালোও থাকবে দীর্ঘসময়। 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫