নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে
প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মনুর মৃত্যু হয়েছে৷
শুক্রবার (৭ জুন) বেলা
১১টার দিকে মদনপুর ইউনিয়নের মুরাদপুরে বাড়ির সামনে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা
হয়৷ পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টায়
তিনি মারা যান বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম
মোস্তফা৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র
করে মনিরুজ্জামান ও তার পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী
বাহিনীর পুরোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে৷ মনিরের ভাই কামরুজ্জামান ওরফে কামু (মৃত) একসময়
একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন৷ কামুর স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও এ দ্বন্দ্বের জেরে মনির
ছাড়াও তার মা ও অপর দুই ভাই বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন৷
নিহত মনিরুজ্জামানের স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে কাপাসিয়ায় শ্বশুরবাড়িতেই
বেশি সময় থাকতেন মনির৷ কাঁচপুরে এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন৷ এই খবর পেয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর
প্রধান নুরা মিয়া ও তার ছেলেরা মিলে আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে৷ আমি এর
বিচার চাই৷
বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, পুরনে শত্রুতার জেরে এ খুন হয়েছে৷ নিহত
ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত
থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ আমরা এ ঘট্নায় জড়িতদের চিহ্নিত করে
আইনের আওতায় আনব।
তবে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার
করা যায়নি বলে জানান ওসি৷ এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।