বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার বিধি ১১১(৫) অনুযায়ী জাহাজ ভাঙা শ্রমিকদের আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাস, মে মাসের পূর্ণ বেতন ও জুনের আংশিক বেতন জুনের মধ্যে প্রদানের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরাম। পাশাপাশি এ খাতের শ্রমিকদের জন্য আসন্ন বাজেটে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাহাজ ভাঙা শ্রমিকরা যে মজুরি পান তা দিয়ে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। জাহাজ ভাঙা সেক্টরে ২০১৮ সালে ঘোষিত মজুরি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। মজুরি ঘোষণার পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও শ্রম আইন অনুসারে নতুন মজুরি বোর্ড ঘোষণার সময় হয়ে গেছে। তাই অবিলম্বে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে জাহাজ ভাঙা শ্রমিকদের নিম্নতম মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। হতদরিদ্র শ্রমিকদের ন্যূনতম জীবনমান বজায় রাখার স্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য রোধে স্থায়ী এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমাধানকল্পে দেশের সব দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও জাহাজ ভাঙা শ্রমিকসহ সব খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং সারা দেশে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় টিসিবির অধীনে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার জন্য আসন্ন বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।
ফোরামের সভাপতি শ্রমিক নেতা তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এএম নাজিম উদ্দিন, জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য মাহাবুবুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।