মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট আরোপে অনড় এনবিআর

প্রকাশ: মে ২৭, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ না করার আবেদন জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব। ১৯ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে এ আবেদন জানানো হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী এ চিঠি পাঠিয়েছেন। 

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। ১ জুলাই থেকেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে। এর থেকে সরে আসা হচ্ছে না। বাজেটেও এ বিষয়ে আমাদের কোনো আলোচনা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী কোনো সিদ্ধান্ত দিলে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব। এছাড়া এ বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তই থাকছে।’ 

চিঠিতে বলা হয়, ডিএমটিসিএল এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ)-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেট্রোরেলের সেবার ওপর মূসক আহরণ না করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে গত ১১ মার্চ চিঠি পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাব বিবেচনায় না নিয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতির মেয়াদ শেষে পুনরায় আলোচ্য ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি প্রদানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অপারগতা জ্ঞাপন করে। এটি বলবৎ হলে আগামী ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের সেবার ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রযোজ্য হবে। সেবা গ্রহণকারী হিসেবে মূসকের এ অর্থ মেট্রোরেলের যাত্রীদের ওপর বর্তাবে। ফলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, সময়সাশ্রয়ী, বিদ্যুচ্চালিত, পরিবেশবান্ধব, দূরনিয়ন্ত্রিত ও অলাভজনক স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেলের সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর আরোপ না করার বিষয়ে বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, মেট্রোরেলে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সর্বোচ্চ তিন ফুট উচ্চতাসম্পন্ন শিশুর ভাড়া মওকুফ করা হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট এবং র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করে সাধারণ জনগণ ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারছেন। মেট্রোরেল পরিচালনা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিভিন্ন দেশে এই রেল পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকার ভর্তুকি প্রদান করে থাকে।

এমআরটি (লাইন-৬) চালু হওয়ার পর প্রতিদিন ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ভ্রমণ সময় ও ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার যানবাহন পরিচালনা বাবদ সাশ্রয় হচ্ছে এবং প্রতি বছর ২ লাখ ২ হাজার ৭৬২ টন কার্বন হ্রাস পাচ্ছে। জাতীয়ভাবে আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে ৩ হাজার ৪৮৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সাশ্রয়কৃত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে যা জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫