দফতরগুলো শুধু দুদকের ভূমিকা দেখতে চায়: দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশ: মে ২৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

দফতরগুলো শুধু দুদকের ভূমিকা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, কমিশনে আমার তিন বছরে কোনো রাজনৈতিক বা বেসরকারি কারো প্রভাব বা হুমকি পাইনি। দফতরগুলো সব ছেড়ে দিয়ে রেখেছে, দেখতে চায় দুদক কী করে।

শনিবার (২৫ মে) ‘দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার ছয় মাস পর কেন দুদকের কাছে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ ছয় মাস পর তথ্য পাঠায়। মন্দ ঋণের তো অডিট হয়। তারা তো আগেই জানতে পারেন। সবগুলো দফতরই তো দায়ী। সংশ্লিষ্ট দফতর আগেই কেন ব্যবস্থা নেয় না। যার যার কাজ সে করলেই তো দুদকের কাছে আসতে হয় না।

তিনি বলেন, সন্তান বাবাকে, স্ত্রী স্বামীকে প্রশ্ন করুক আয়ের বিষয়ে। তাহলেই দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসবে। সামাজিকভাবে দুর্নীতিবাজদের বয়কট করতে হবে। তাদেরকে দাওয়াত দেবেন না। তাদের দাওয়াতে যাবেন না। আমরা তাদেরকে বর্জন করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, নাগরিক একটা অভিযোগ দিয়েই খালাস। সব প্রমাণ কর্মকর্তাকেই যোগাড় করতে হয়। জেলা, উপজেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি হয়ে গেলে এ বিশিষ্ট নাগরিকদের আর পাওয়া যায় না। তারা অনেকে শুধু গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটওয়ারী এবং এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫