স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে সেটা বিতরণ করেন, তাতে করে আমরা যারা দায়িত্বে আছি, তারা সতর্ক হওয়ার একটা সুযোগ পাই। ভুলত্রুটি নিরূপণ করার একটা সুযোগ পাই। কখনো কখনো হয়তো বিভিন্ন খবরাখবর এমনভাবে উপস্থাপন হয়, যা অতিরঞ্জিত। যেখানে হয়তো সত্য তথ্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে, এ রকম বিষয়কে আমরা নিরুৎসাহিত করি। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও এ রকম বিষয়গুলোয় একটা ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত,৷ কিন্তু সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার আমি পক্ষে নই।’
গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি এ কথা বলেন৷ তিনি।
রাষ্ট্র পরিচালনায় সাংবাদিকদের অপরিহার্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় যেমন রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন আছে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমলার প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরও প্রয়োজন আছে৷ ভুলত্রুটি এবং বিচ্যুতি পরিহার করে, আমি সাংবাদিকতার উন্মুক্ত ব্যবহারকে স্বাগত জানাই।’
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিবিষয়ক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সাল থেকে মূলত ডেঙ্গুর তীব্রতা এবং এর প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি৷ শুধু আমরা নই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা এবং ভারতও অনেক আগে থেকে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।৷ আমরা যেহেতু পরে আক্রান্ত হয়েছি, কাজেই আমাদের সুযোগ ছিল এসব দেশের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার। আমরা সেটা করেছি। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে তারা যা করেছে—সব পদ্ধতি আমলে নিয়ে আমরা কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি।৷ এছাড়া আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকেও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি।’