দেড় বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের পরিকল্পনা ফাইজারের

প্রকাশ: মে ২৪, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীকালে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখলেও সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না ফাইজারের। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের অন্যতম ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্টটি ব্যবসা পুনরুদ্ধার ও ব্যয় কমাতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ ১৫০ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর সিএনবিসি।

অবশ্য কাটছাঁটের পরিকল্পনা এবারই প্রথম নয়। ২০২৩ সালে একই পদক্ষেপের অধীন ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ফাইজার। মূলত কভিড ভ্যাকসিন ও মুখে গ্রহণের প্যাক্সলোভিডের চাহিদা কমার পর ব্যবসা পুনর্গঠনের দিকে পরিচালিত হয়েছে ফাইজার। সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জে দাখিল করা প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাথমিকভাবে পরিচালন খাতে প্রভাব ফেলবে খরচ কমানোর এ উদ্যোগ।

কাটছাঁট উদ্যোগে ফাইজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর্মী কমে যাবে। এর মাধ্যমে এককালীন খরচ ১৭০ ডলার কমে আসবে। বেশির ভাগ পরিবর্তনগুলো চলতি বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফাইজারের একজন কর্মকর্তা জানান, খরচ কমানোর পাশাপাশি কোম্পানির পণ্যসম্ভারে পরিমার্জন হবে এবং উৎপাদন ও সরবরাহ নেটওয়ার্কে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। ২০২৩ সালে ফাইজারের শেয়ারদর ৫০ শতাংশ কমে যায়, যা কোম্পানিটিকে নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কার জন্ম দেয়। এ কারণে ফাইজারের বাজারদর ১০ হাজার কোটি ডলার কমে যায়।

গত বছর থেকে কভিড পণ্যের চাহিদা কমতে থাকে। এরপর থেকে ফাইজার ওজন কমানোর ওষুধ বাজারে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পুরোপুরি উত্তীর্ণ হয়নি।

তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ফাইজারের আয় ও সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ পূ্র্বাভাসের তুলনায় বেশি ছিল। এর ওপর ভিত্তি করে সারা বছরের জন্য লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে কোম্পানিটি, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদরে মধ্যে আস্থা অনেকটাই ফিরে আসে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিনেই কোম্পানির শেয়ারদর ৬ শতাংশ বেড়ে যায়। তখন থেকে শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ শতাংশ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫